এতদিন পর্যন্ত অনেকে শিলিগুড়ি থেকে টয় ট্রেনে চেপে দীর্ঘ পাহাড়ি আঁকাবাঁকা রাস্তা ঝরনা জঙ্গল পেরিয়ে দার্জিলিঙের উদ্দেশে রওনা হন। অনেকে আবার দার্জিলিং পৌঁছে ঘুম অথবা দার্জিলিং স্টেশন থেকে টয় ট্রেনে চেপে শৈলশহর ভ্রমণে বেরিয়ে পড়ে। তবে এবার পর্যটকদের আরও বেশি করে আনন্দ দিতে টয় ট্রেনের ভেতরেই চালু হল খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা।
advertisement
এবার থেকে পর্যটকরা এসে টয় ট্রেনের ভিতরে বসেই পাহাড়ের নেপালি জনজাতির হাতের তৈরি বিখ্যাত মোমো থেকে শুরু করে দার্জিলিং চা হাতে শহরকে উপভোগ করতে পারবেন। এই প্রসঙ্গে এখানে ঘুরতে আসার পর্যটক অর্ঘ্য বোস বলেন ‘‘সত্যিই, টয় ট্রেনের ভিতরে বসে এমন সুন্দর একটা পরিবেশ এবং তার সঙ্গে খাওয়া দাওয়া-একদম নতুনত্ব এই ব্যাপার, এখানে এসে খুব ভাল লাগছে।’’
আরও পড়ুন : মাল্টিভিটামিনের ভান্ডার! সর্বরোগহরা! টবেই আমেরিকান পুঁইশাক চাষ করে মালামাল হয়ে যান
দার্জিলিং স্টেশনের সামনেই দেখা মিলবে তিন কামরা বিশিষ্ট এই টয় ট্রেনের। শহরের মাঝে অবস্থিত এই টয় ট্রেন আসলে একটি রেস্তোরাঁ। ঝাঁ চকচকে লাইট, ভিতরে সুন্দর বসার জায়গার সঙ্গে লোকাল খাবার খেতে খেতে টয় ট্রেনের জানালা দিয়ে দেখা মিলবে দার্জিলিং শহরের। এই রেস্তোরাঁ প্রসঙ্গে এখানে কর্মরত প্রেমনাথ ঘোষ জানান মানুষ সবসময় নতুনত্ব কিছু খোঁজে। আর দার্জিলিং মানেই দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের হেরিটেজ টয় ট্রেন। এতদিন ট্রেনে শুধু জয়রাইড হলেও এবার এখানে ঘুরতে আসা পর্যটক এর ভিতরে বসেই স্থানীয় খাবার স্বাদ উপভোগ করতে পারবেন।