বর্তমানে পার্শ্ববর্তী দেশ নেপাল থেকে প্রচুর চা দার্জিলিংয়ে ঢুকছে যার ফলে স্বাভাবিকভাবেই মান হারাচ্ছে দার্জিলিং চা। তবে কীভাবে চিনবেন এই দার্জিলিং চা আসল না নকল? তার জন্য আপনাকে জানতে হবে এই দার্জিলিং চায়ের ইতিহাস। বছরে চারবার এই দার্জিলিং চা তোলা হয় যা ফাস্ট ফ্লাস ,সেকেন্ড ফ্লাস, থার্ড ফ্লাস এবং ফোর্থ ফ্লাস নামে পরিচিত। এবং প্রত্যেকটি ফ্ল্যাসের স্বাদও ভিন্ন হয়। এই প্রসঙ্গে মাকাইবাড়ি চা বাগানের চা বিশেষজ্ঞ লাল্টু পুরকাইত বলেন দার্জিলিং চা হল বিশ্বের সেরা এই দার্জিলিং চা কে শ্যাম্পেন অফ টি বলা হয়। এই চা খেতে দুধ বা চিনির প্রয়োজন নেই হালকা গরম জলই যথেষ্ট।
advertisement
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”
তবে বর্তমানে বাইরের দেশ থেকে প্রচুর পরিমাণ চা দার্জিলিং চায়ের নাম করে বিক্রি করা হচ্ছে এবং এর দাম অত্যন্ত কম হওয়ায় পর্যটকেরা সেই চা কিনে ও নিয়ে যাচ্ছে। ফলে ক্ষতির মুখে পড়ছে চা ব্যবসায়ীরা তবে কেউ যদি আসল দার্জিলিং চা খেতে চায় তবে এই চায়ের ইতিহাস সম্পর্কে তাকে জানতে হবে। এই চায়ের স্বাদ সম্পর্কে তাকে অবগত থাকতে হবে। ডিসেম্বর জানুয়ারি ফেব্রুয়ারি এই তিন মাস দার্জিলিয়ে কোনও চা তৈরি হয় না। বসন্ত, গ্রীষ্ম, বর্ষা এবং শরৎকাল মোট এই চারটি ঋতুতে দার্জিলিং চা তৈরি হয়। এই দার্জিলিং চা বিশ্বসেরা কারণ এটি সবসময় এর নিজের বিশুদ্ধ রূপে থাকে।
আরও পড়ুন: নতুন বছরে প্রেমের জোয়ারে ভাসবেন! ভালবাসার মানুষ খুঁজে পাবে এই রাশিরা!
মোট ৮৭ টি চা বাগান এই দার্জিলিং চা তৈরি করে, এবং মোট ৮. ৫ মিলিয়ন চা বাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে আসে! তবে দার্জিলিং চায়ের এই ইউনিকনেসের জন্য সারা বিশ্বে মোট ৪০ মিলিয়ন চা দার্জিলিং চায়ের নামে বিক্রি হয়। আসল দার্জিলিং চা চিনতে হলে সবার আগে এর ইতিহাস এবং এর স্বাদ সম্পর্কে জানতে হবে।
সুজয় ঘোষ