২০১৫ সালের এক সমীক্ষায় ২৩০ জন হেটেরোসেক্সুয়াল নারীর মধ্যে বিষয়টি নজরে আসে। ২০১৮ সালের সমীক্ষায় দেখা যায় শুধু নারীরাই নন, ১২০৮ জন পুরুষও এই সমস্যায় ভুক্তভোগী। এঁদের মধ্যে ৪ শতাংশের সঙ্গে আবার নিয়মিতই ব্যাপারটা ঘটে বলে জানা গিয়েছিল।
আরও পড়ুন-Viral News: খাবারে বিষ মিশিয়ে পুত্রবধূকে হত্যার চেষ্টা! অবশেষে সামনে এল সত্য
advertisement
কেন এমন হয়?
১. যৌন মিলনের চরম সুখানুভূতিতে চোখ দিয়ে জল বেরিয়ে আসতে পারে।
২. যৌন উত্তেজনা শেষ হয়ে যাওয়া মেনে নিতে না পেরে অনেকে কেঁদে ফেলেন।
৩. শারীরিক প্রতিক্রিয়া স্তম্ভিত করে দিলেও কান্নার সম্ভাবনা থাকে।
৪. যৌনাঙ্গের ব্যথার কারণেও কেঁদে ফেলা খুব স্বাভাবিক।
৫. সঙ্গী/সঙ্গিনীকে তৃপ্ত করা যাচ্ছে কি না, সেই উদ্বেগ থেকেও অনেকে কেঁদে ফেলতে পারেন।
৬. যৌন মিলন নিয়ে অপরাধবোধ থাকলে তার জেরেও কেঁদে ফেলা অস্বাভাবিক নয়।
৭. মিলনেয় সময়ে যৌন উত্তেজনা স্তিমিত হয়ে এলে অনেকে লজ্জায় কেঁদে ফেলেন।
৮. যৌনতা নিয়ে অতীতের খারাপ অভিজ্ঞতার কারণেও চোখে জল আসতে পারে।
আরও পড়ুন-Knowledge: কেন অন্যান্য প্রাণীদের মানুষের মত মস্তিষ্ক নেই? কি বলছে বিজ্ঞান
এক্ষেত্রে কী করা উচিত?
১. নিজে কেঁদে ফেললে:
- নিজেকে সময় দেওয়া উচিত, যাতে ব্যাপারটা সামলে নেওয়া যায়।
- সঙ্গী/সঙ্গিনীর সঙ্গেও কথা বলতে হবে, যাতে তিনি ভুল না বোঝেন।
- মিলন অসম্পূর্ণ না রেখে যৌনতা নিয়ে কথা চালিয়ে যাওয়া, যাতে আবার কাছাকাছি আসতে ইচ্ছা হয়।
২. সঙ্গী/সঙ্গিনী কেঁদে ফেললে:
- কোথায় সমস্যা হচ্ছে, জেনে নেওয়া প্রয়োজন।
- তাঁদের ইচ্ছাকে গুরুত্ব দিতে হবে।
- তাঁদের প্রয়োজনীয় সময় দিতে হবে।
- কখনওই জোর করে যৌন মিলন করা যাবে না।
৩. রোজ এরকম হতে থাকলে:
সঙ্গী/সঙ্গিনীর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমেও যদি বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে না আসে, তবে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়াই উচিত হবে।