তিনি জানালেন, "প্রথমে বলি, যাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের মাথায় রাখতে হবে, এবারের যে করোনার ঢেউ, তাতে মৃত্যুহার তেমন বেশি নয়। অন্তত এখনও পর্যন্ত যা পরিসংখ্যান পাওয়া যাচ্ছে, তা দেখে তেমনই মনে হচ্ছে। তাই যাঁরা করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন, তাঁদের সকলেরই দ্রুত, সময় মেপে সুস্থ হয়ে যাওয়ার একটা বিরাট সম্ভাবনা আছে। এবং সেটা আমরা দেখছিও। কিন্তু এটাও ঠিক, কোভিড জুড়ে যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে, শেষ দু'বছর ধরে, সেটি আবারও ফিরে আসছে। কিন্তু আমরা যেটুকু পড়াশোনা করে দেখছি, জানতে পারছি সব জাগয়া থেকে, এ বারে ঢেউয়ে মৃত্যুহার অনেকটাই কম।এটা ততটা ভয়ানক হয়ে উঠছে না।"
advertisement
আরও পড়ুন - ভয়াবহ! একলাফে ৯১ হাজার ছুঁই ছুঁই দৈনিক সংক্রমণ! করোনা-কম্পে কাঁপছে গোটা দেশ...
কিন্তু একটা বড় অংশের মানুষের কাছে কোভিড মানেই সেই মারাত্মক অতীত। বেডের অভাব, অক্সিজেনের অভাব, দ্বিতীয় ঢেউয়ের সেই মারাত্মক সঙ্কটকাল। তাই এবারে কেউ করোনা আক্রান্ত হলেই তাঁর মধ্যে একটা আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি হচ্ছে। তাই নিয়ে চিকিৎসক বসাক জানালেন, "অনেকেই অ্যাংজাইটিতে আক্রান্ত হচ্ছেন। অনেকের মনেই তীব্র দুঃশ্চিন্তা তৈরি হচ্ছে। আগেও আমি বলেছি। একটা শেয়ারিংয়ের জায়গা লাগবে। আমরা একা অনেক লড়াই লড়ে উঠতে পারি না। এটা বহন করে ওঠা সম্ভব হচ্ছে না। এটা এতটাই ভারী হয়ে ঠেকছে আমাদের কাছে। তাই সকলের সঙ্গে একটু কথাবার্তা বলা দরকার। শেয়ার করা, গল্প করা। যে মুহূর্তে আমাদের এই শেয়ারিংয়ের অভ্যাস তৈরি হবে, সেই মুহূর্তে আমরা অ্যাংজাইটির বিষয়টি সামলাতে আমাদের সুবিধা হবে।"
আরও পড়ুন - দিনের শেষে এল প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা, ধন্যবাদ জানালেন মমতা
কোভিড পরিস্থিতির এই অবস্থা নিয়ে কিছুটা উষ্মাও প্রকাশ করেন চিকিৎসক বসাক। তিনি বলেন, "উৎসবের মধ্যে আমি ভুলে গিয়েছিলাম, আমরা কী পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে গিয়েছি। তাই আমরা যেন একটু সতর্ক হই। শুধু নিজের পরিবার-পরিজনের জন্য নয়, সকলের জন্য। আবারও একটা পরিস্থিতি আসছে, যেখানে নিজেদের চাকরি চলে যাওয়া, কাজ চলে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে চলেছে। আমরা যদি একটু সচেতন হতে পারি, উৎসবের মধ্যেও যেন আমাদের সচেতনতা ও দায়িত্ববোধ যেন কাজ করে। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক, বর্তমানে যে আক্রান্তের সংখ্যা বিপুল হয়ে দাঁড়িয়েছে, তার জন্য আমরা সকলেই ভীষণ ভাবে দায়ী। আমরা সকলে জানতাম, কোভিড কী ভাবে ছড়িয়ে পড়ে। তার পরেও আমরা কেন এ ভাবে ভিড় করলাম! আমি সকলের কাছে অনুরোধ করব, একটু দায়িত্ববোধের পরিচয় দিন। আমরা যাঁরা আক্রান্ত হইনি, তাঁরা যেন একটু সচেতন থাকি আর যাঁরা দুর্ভাগ্যজনক ভাবে আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের কাছে অন্য ভাবে, নানা পথে যেন সাপোর্ট সিস্টেম হয়ে উঠতে পারি। আমাদের সেই পথে আবার ফিরে যেতে হবে।