মাথা ব্যথা
করোনাভাইরাসের লক্ষণ হিসাবে মাথা ব্যথা খুব একটা পরিচিত নয়। কোভিড-১৯ সংক্রমণের একেবারে প্রথম দিকে মাথা ব্যথা হতে দেখা যায় এবং সাধারণত এই লক্ষণটি তিন থেকে পাঁচ দিন থাকে। সেক্ষেত্রে মাঝারি থেকে গুরুতর মাথা ব্যথা হতে পারে। রোগী মাথায় 'দপ-দপ করার মতো', 'চাপ ধরা' কিংবা 'খোঁচানোর' মতো ব্যথা অনুভব করেন। এই ধরনের মাথা ব্যথা সাধারণ পেইনকিলার খেলে কমে যায়। আবার দীর্ঘ সময় পর্যন্ত মাথা ব্যথা থাকতে পারে, যার ফলে এটি লং কোভিডের লক্ষণ হয়ে ওঠে। তবে করোনাভাইরাসের লক্ষণ হলেও অন্য কোনও কারণে মাথা ব্যথা হচ্ছে কি না সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
advertisement
আরও পড়ুন : বন্ধ নাক, গলাব্যথার সমস্যায় ব্যবহার করুন এই সহজ টোটকা, আরাম পাবেনই
পেশিতে ব্যথা
পেশিতে ব্যথা করোনাভাইরাসের একটি সাধারণ লক্ষণ এবং বিশেষ করে ওমিক্রনের এটি অন্যতম লক্ষণ হিসেবে দেখা হয়। কোভিড-১৯-এ সংক্রামিতরা পেশিতে বিশেষত কাঁধে কিংবা পায়ে ব্যথা অনুভব করেন। কোভিড সম্পর্কিত পেশির ব্যথা মৃদু হয় ঠিকই, কখনও কখনও অতিরিক্ত ক্লান্ত থাকলে তা কিছুটা গুরুতর হতে পারে। পেশিতে ব্যথা কিছু মানুষের দৈনন্দিন কাজেও প্রভাব ফেলে। পেশিতে ব্যথা সাধারণত দুই থেকে তিন দিন থাকে, কিন্তু কিছু মানুষের দীর্ঘদিন থেকে যায়। তবে পেশির ব্যথার পিছনে অন্য কোনও কারণও থাকতে পারে।
আরও পড়ুন : ইন্টারকোর্স না করেও এই উপায়ে পাওয়া যায় শরীরী সঙ্গমের তৃপ্তি ও আনন্দ
কোভিডের অন্যান্য উপসর্গ
এই দুই ধরনের ব্যথার মতো কোভিডের আরও অন্যান্য লক্ষণও একই সঙ্গে থাকতে পারে। কোভিড-১৯-এ সবচেয়ে সংক্রামিত অঙ্গ হল ফুসফুস। সেক্ষেত্রে কোভিড-১৯-এর কিছু সবচেয়ে পরিচিত লক্ষণগুলি হল শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায় কিংবা ঠান্ডা লাগা, এক ঘন্টার বেশি সময় ধরে খুব কাশি, শ্বাসকষ্ট, গলা ব্যথা, নাক বন্ধ বা সর্দি, খিদে কমে যাওয়া এবং ডায়রিয়া ইত্যাদি।