জানা গিয়েছে, ইউরোপীয় সংস্কৃতির এক অনুষ্ঠান বাংলার মাটিতে তুলে ধরা হয়েছে রায় পরিবারের পক্ষ থেকে। জমকালো অনুষ্ঠান শুরু হয় হেরিটেজ ওয়াক দিয়ে। রাজা প্রশান্ত রায়, রানি সুপ্রিয়া রায়, পুত্র পল্লব রায় , রায় পরিবারের নবীন, প্রবীণ সদস্য, এই শহরের বিশিষ্ট মানুষজন তাঁদের হাত ধরে উদযাপনের সূচনা হয় প্রদীপ প্রজ্বলন ও পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে।
advertisement
পর্যটকদের কথা মাথায় রেখেই রাজপ্রাসাদের অন্দরে সূচনা হল একটি ফটো গ্যালারির। ফিতে কেটে যার উদ্বোধন করলেন বিশিষ্ট চিত্র শিল্পী সুদীপ রায়। বিশেষ দিনে হেরিটেজ ওয়াকের মাধ্যমে জীবন্ত ইতিহাসকে চাক্ষুষ করলেন একঝাঁক শিল্পপ্রেমী। অভিনব এক প্রয়াসের সাক্ষী থাকল ইতিহাসে মোড়া রাজবাড়ির অন্দর। বিশেষ আকর্ষণ ছিল বসে আঁকো প্রতিযোগিতা। যেখানে ১৭৫৭-র কাশিমবাজার কেমন ছিল, সেই ছবি জল রং, তুলি, ক্যানভাসের টানে ফুটিয়ে তুলল বিভিন্ন স্কুলের পড়ুয়ারা। ক্যানভাসে জীবন্ত হল ইতিহাস
আরও পড়ুন : কড়া রসের পাকে ছানার যুগলবন্দিতে তৈরি বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের প্রিয় রসলাল মিষ্টি আজও স্বাদের রাজা
মূলত ঐতিহ্য ও সাবেকিয়ানায় মোড়া কাশিমবাজার রাজবাড়ি। ইতিহাস যেখানে কথা বলে আজও। শুধু বইয়ের পাতা উল্টে নয়, ক্যানভাসে চোখ রেখে ফিরে তাকানো ইতিহাসে অলিন্দে। মূলত পর্যটকদের প্রতি আকর্ষণ ও পর্যটন মানচিত্রে কাশিমবাজার রাজবাড়িকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতেই এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। বিগত কয়েক বছরে নতুন রঙে সেজে উঠে বর্তমানে তা হয়ে উঠেছে হেরিটেজ গেস্ট হাউস। সান্ধ্য জমকালো অনুষ্ঠানের আগে সকাল থেকেই উৎসবমুখর কাশিমবাজার প্যালেস অফ দ্য রয়্যালস। পুজোর আগে বাড়তি পাওনা ইতিহাসপ্রেমী পর্যটকদের।