বার্ধ্যকের লক্ষণ হ্রাস করে: কপার পেপটাইডে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটা ত্বককে ফ্রি র্যাডিক্যাল থেকে ক্ষতির বিরুদ্ধে রক্ষা করে। এই পেপটাইডগুলি ফাইব্রোব্লাস্টগুলিকে কোলাজেন এবং ইলাস্টিন তৈরি করতে উৎসাহিত করে, যা ত্বককে শক্ত এবং মসৃণ করার পাশাপাশি সূক্ষ্মরেখা এবং বলিরেখার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তা করে।
তামার নিরাময় বৈশিষ্ট: কপার পেপটাইডের ত্বক মেরামত করার এমনকী ত্বকের টোন ঠিক করারও ক্ষমতা রয়েছে। কয়েকটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এটা ঘটে কারণ তামা পেপটাইডগুলি ত্বক থেকে ক্ষতিগ্রস্থ সংযোগকারী ফাইবারগুলিকে সরিয়ে দেয়। তাই ত্বকচর্চায় কপার পেপটাইড ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। তবে কিছু উদ্বেগের কারণও রয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন : দাম যা বাড়ছে, বাড়িতে দুধ ছাড়াই বানিয়ে ফেলুন পনির! রইল পুরো পদ্ধতি, মিষ্টি থেকে ডালনা এখন নিমেষে
কপার পেপটাইডের কার্যকরিতা নিশ্চিত করতে আরও গবেষণা প্রয়োজন। কারণ তামা থেকে বিষক্রিয়া কিংবা অ্যালার্জির সম্ভাবনাকে এখনও পুরোপুরি ছেঁটে ফেলা যায়নি। বাজার থেকে কেনা বেশিরভাগ স্কিনকেয়ার সলিউশনে কপার পেপটাইড ছাড়াও অন্যান্য পদার্থের সংমিশ্রণ থাকে। এগুলো সংবেদনশীল ত্বকেও ব্যবহার করা যায়। বলিরেখা, সূক্ষরেখা দূর করতে এবং পা ফাটা নিরাময়ে মারাত্মক কাজ করে।
আরও পড়ুন : মধুমেহ রোগীদের ৭ দিনের ডায়েট প্ল্যান, চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পরামর্শ পুষ্টিবিদদের
একবার সফলভাবে এই উপাদানটির ভাল-মন্দ বুঝে নিলে, নতুন ত্বকচর্চার উপাদান হিসেবে এটা অনায়াসে জায়গা করে নিতে পারে। কারণ ত্বকে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে তামার জুড়ি নেই। প্রদাহ কমানো থেকে ত্বককে স্বাস্থ্যোজ্বল রাখা, কপার পেপটাইড হয়ে উঠতে পারে জাদু উপাদান। ইদানীং এর ব্যাপক জনপ্রিয়তার পিছনেও এই কারণগুলোই রয়েছে। তাছাড়া চর্মরোগ বিশেষজ্ঞরাও কপার পেপটাইডকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন। ফলে ত্বকচর্চার পণ্যে এর ব্যবহার বাড়ছে।