কোচবিহারের এক ইতিহাস অনুসন্ধানী সুবীর সরকার জানান, “বর্তমানে এই কুয়োকে সংস্কার করে সুন্দর করা হয়েছে। এছাড়াও এই মন্দির খোলা হয় সকাল ১০টা নাগাদ। তারপর সারা দিন এই মন্দির খোলাই থাকে ভক্তদের জন্য। আবার সন্ধ্যারতি হওয়ার পর এই মন্দির বন্ধ করা হয়। মূল মন্দিরের পাশেই মন্দিরের দর্শনার্থীদের জন্য বসার জায়গা রয়েছে দু’টি। এই মন্দিরের পরিবেশ যে কোনও পর্যটকের মন খুব সহজেই আকর্ষণ করে। তাই প্রতিদিন বহু মানুষ এই মন্দিরে ভিড় জমান পুজোর সময়। প্রতিদিন বহু মানুষ এই মন্দিরে আসেন পুজো দিতে।”
advertisement
আরও পড়ুন : ১৩৬ বছরের শকুন্তলা কালীপুজো ঘিরে অজস্র ভক্ত সমাগম! কোন্নগরে এখন সাজো সাজো রব
তিনি আরও জানান, “শিব চতুর্দশীতে প্রচুর পরিমাণ ভক্তদের ভিড় হয় এই মন্দিরে। বর্তমানে মন্দির সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করছে দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ড। তবে এই মন্দিরের সংস্কার দ্রুত প্রয়োজন। নাহলে মন্দিরের বেশ কিছু অংশে দ্রুত ক্ষয় দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। মন্দিরের সামনের দিকে টেরাকোটার শিল্পের মাধ্যমে বহু কাহিনি বর্ণনা করা রয়েছে। ইতিহাসপ্রেমীদের এই মন্দির অনেকটাই আকর্ষণ করে এটুকু বলা সম্ভব। তাই তো বহু মানুষ আজও আসেন এই মন্দিরের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে।”
জেলার প্রাচীন এই মন্দিরের জেলার পর্যটনের মানচিত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে রয়েছে। এই মন্দির জেলার এবং জেলার বাইরের পর্যটকদের জন্য অনেকটাই গুরুত্বপূর্ণ দর্শনীয় স্থান।