‘অ্যাকন্থামোইবা কেরাটাইটিস কী: অ্যাকন্থামোইবা হল প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট এক ধরনের অ্যামিবা। কলের জল, নর্দমা, মাটি, সুইমিং পুল, বাথটবে বাস করে। চক্ষু বিশেষজ্ঞ টিনা পটেল বলছেন, অ্যাকন্থামোইবা নামক অ্যামিবার মুখোমুখি হলে কোনও ক্ষতি হয় না। তবে দূষিত জল চোখের সংস্পর্শে এলে অ্যাকন্থামোইবা কেরাটাইটিস হতে পারে। যখন এই অ্যামিবা কর্নিয়াকে সংক্রামিত করে, তখন তাকে অ্যাকন্থামোইবা কেরাটাইটিস বলে। শাওয়ারে স্নানের সময় কন্টাক্ট লেন্স পরলে এই বিরল রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
advertisement
আরও পড়ুন: রান্নাঘরেই ঘাপটি মেরে ‘নিঃশব্দ ঘাতক’, আপনার স্বাস্থ্য তছনছ করে দিচ্ছে প্রতিদিন!
কেস স্টাডি: আমেরিকার নাগরিক ৫৪ বছর বয়সী মেরি ম্যাসন সবসময়ই কন্টাক্ট লেন্স পরে থাকতেন। স্নানও করতেন কন্টাক্ট লেন্স পরেই। তিনি অ্যাকন্থামোইবা কেরাটাইটিসে আক্রান্ত হন। তিনি মনে করেন, লেন্স না খুলে স্নানের কারণেই অ্যাকন্থামোইবা অ্যামিবা চোখে প্রবেশ করেছিল। বিবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘এতে আক্রান্ত হওয়ার পর চোখে ধাঁধা লেগে যেত। কন্টাক্ট লেন্স পরে থাকলে অস্বস্তি আরও বাড়ত’। এর প্রাথমিক লক্ষণ সম্পর্কে বলতে গিয়ে ম্যাসন বলেন, ‘চোখে যেন কিছু একটা রয়েছে। বালি বা ওই ধরনের কিছু। মনে হচ্ছে ঘষলেই চলে যাবে, কিন্তু যাচ্ছে না’।
আরও পড়ুন: কোলেস্টেরল থেকে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি? একদম অবহেলা করবেন না, অবশ্যই জানুন
চিকিৎসা: ওষুধ এবং চোখের ড্রপ তো ছিলই। মেরি ম্যাসনের ৩ বার কর্নিয়া প্রতিস্থাপনও হয়। কিন্তু সুস্থ হননি। একটি সংবাদসংস্থাকে তিনি বলেন, ‘অনেক ডাক্তার দেখাই। চোখের ড্রপ, অপারেশন সব কিছুই হয়। কিন্তু সুস্থ হয়নি। চোখের ব্যথা ক্রমশ বাড়ছিল’। পাঁচ বছর পর তাঁর বাম চোখ অপসারণের সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। তারপর সুস্থ হন ম্যাসন।
অ্যাকন্থামোইবা কেরাটাইটিসের লক্ষণ: অ্যাকন্থামোইবা কেরাটাইটিসের লক্ষণগুলো সাধারণ চোখের সংক্রমণের মতোই। তাই রোগ নির্ণয়ে প্রায়শই ভুল হয়। তাই চোখের সংক্রমণে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। এই রোগের কিছু সাধারণ উপসর্গ হল - লাল চোখ, আলোতে চোখ ধাঁধিয়ে যাওয়া, চোখে অত্যধিক ব্যথা, ঝাপসা দৃষ্টি, চোখে কিছু আটকে থাকার অবিরাম অনুভূতি, অনবরত চোখ দিয়ে জল পড়া।
(Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)