ইতিমধ্যেই পশ্চিম রাজস্থানে শৈত্য প্রবাহ শুরু হয়ে গিয়েছে। ফলে এই আবহাওয়া পরিবর্তনের মুহূর্তে শিশুদের অতিরিক্ত যত্নে রাখতে হবে। ঠান্ডার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য খালি পায়ে তাদের মেঝেতে হাঁটতে দেওয়া চলবে না। বারমের জেলা হাসপাতালে ছোট ছোট শিশুদের চিকিৎসার জন্য এই মুহূর্তে সঠিক ব্যবস্থা করা হয়েছে। আবহাওয়ায় আচমকা এই পরিবর্তনের জেরে শিশুদের মধ্যে বেড়েছে জ্বর, কাশি, পেট খারাপ এবং সর্দি। এই সব সমস্যা নিয়েই হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে তারা।
advertisement
আরও পড়ুন: পাহাড়ের কোলে চিরঘুমে ৮ মাসের মেয়ে, সারেগামাপা জিতেই সমাধি ফুল-মালায় সাজালেন অ্য়ালবার্ট কাবো
অতিরিক্ত ঠান্ডায় নিউমোনিয়ার ঝুঁকি:
ওই জেলা হাসপাতালের পেডিয়াট্রিশিয়ান ডা. হরিশ চৌহান বলেন, ঠান্ডা যেহেতু ক্রমবর্ধমান, তাই শিশুদের দিকে একটু বেশিই যত্ন নেওয়া আবশ্যক। এই মরশুমে মায়েদের স্বল্প গাফিলতি বাচ্চাদের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে। বিষয়টা ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, কোল্ড ডায়েরিয়া রোগের মধ্যে ডায়েরিয়ার সমস্যা তো থাকেই, সেই সঙ্গে খিদের ঘাটতি হয়। রোগীর কাঁপুনি হতে শুরু করে আর সারা দিন ধরে ক্লান্ত অবসন্ন বোধ করে। এছাড়া পেট ব্যথাও বাড়তে শুরু করে। এমনকী অতিরিক্ত ঠান্ডায় নিউমোনিয়ার আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না!
আরও পড়ুন: শীতে আর্থারাইটিসের সমস্যা বাড়ে, মরণ-ব্যথা কমাতে এই গোলাপি সরবতে চুমুক দিন
ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধ করতে প্রতিরক্ষামূলক কী কী পদক্ষেপ নিতে হবে?
ডা. চৌহানের মতে, শিশুদের ফুসফুসের সংক্রমণের উপসর্গের মধ্যে অন্যতম হল ক্রমাগত কাশি, বুকের ভিতর ঘড়ঘড় শব্দ, দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস, মুখে নীলচে ভাব। এমন পরিস্থিতিতে সমস্যা দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে বাচ্চাদের ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে হবে। চেক-আপ করিয়ে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খাওয়াতে হবে। আর শীতের দিনে বাচ্চাদের যাতে ডিহাইড্রেশন না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। তাই নিয়মিত ব্যবধানে তাদের জল পান করানো আবশ্যক। ঠান্ডার দিনে ঈষদুষ্ণ গরম জল পান করা অত্যন্ত উপযোগী। আসলে এই সময় শিশুদের দেহে জলের ঘাটতি হলে ডায়েরিয়ার আশঙ্কা অনেকাংশে বেড়ে যায়।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F