তাহলে কফি কেমন?
স্বাস্থ্যের উপর কফির প্রভাব নিয়ে জনমতের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। অথচ অন্যতম জনপ্রিয় পানীয় এটি। বিশ্বব্যাপী, আমরা প্রতিদিন প্রায় দুই বিলিয়ন কাপ কফি খাই। এটি প্রচুর কফি এবং অনেকেই জানতে চান এনার্জি উদ্বুদ্ধ করে ঘুম থেকে জাগিয়ে রাখার পাশাপাশি আর কী কী উপকার এই কফিতে। কিন্তু এখানেই রয়েছে বিশেষজ্ঞদের ভিন্ন ভিন্ন মত।
advertisement
আরও পড়ুন : আপনার হাতে এই চিহ্ন আছে? থাকলেই জীবনে টাকার বন্যা! লক্ষ্মীর কৃপায় সদা বিরাজ করবে সৌভাগ্য!
কফি রাসায়নিক দিয়ে তৈরি:
কফি পান করার সময়, আমরা একটি জটিল তরল শরীরে নিই যাতে আক্ষরিক অর্থেই হাজার হাজার রাসায়নিক থাকে এবং কফির সম্ভাব্য স্বাস্থ্য উপকারিতাগুলি সাধারণত এতে থাকা অন্যান্য রাসায়নিকগুলির সঙ্গে যুক্ত থাকে। পলিফেনল সহ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট একটি গ্রুপ যা কফিতে সদর্থক অবদান রাখে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায় এই উপাদান। কিন্তু এগুলি এবং অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি ব্রকলি বা ব্লুবেরির মতো অনেক গাছে তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি পরিমাণে পাওয়া যায়।
বিজ্ঞানীরা কফি সম্পর্কে কী মনে করছেন?
মূলত আমরা কিন্তু ক্যাফেনের জন্যই কফি পান করি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের জন্য নয়। আমরা বাস্তবসম্মতভাবে আশা করতে পারি যে আমরা কফি পান করে নিজেদের ক্ষতি করছি না। তবুও কফি আমাদের শরীরে অন্যান্য ক্ষতিকর খাদ্যের মতো কিন্তু কখনোই দ্রুত আমাদের মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে না। এমন ক্ষতিকর খাদ্য উপাদানের তালিকায় মধ্যে রয়েছে ডোনাট, মাইক্রোওয়েভ পপকর্ন এবং সিগারের মতো বেশ কিছু জিনিস যা আমরা খাই ক্ষতির কথা জেনেশুনেই। এই প্রসঙ্গে বিজ্ঞানীরা বলছেন যে তাঁরা এই কফি নিয়ে গবেষণা প্রায় ততটাই ভালোবাসেন যতটা আমরা এটি পান করতে পছন্দ করি।
১৯৮১ সালে, নিউ ইয়র্ক টাইমসের একটি হাই প্রোফাইল পোল অত্যন্ত জোরের সঙ্গে ঘোষণা করেছিল যে আমাদের সকালের কফি কাপই আমাদেরকে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যাচ্ছে। তবে এর ফলাফলগুলি পরে মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়। গবেষকরা স্পষ্টতই এমনকি মধ্যমানের কফি খাওয়াকেও অকাল মৃত্যুর উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধির কারণের সঙ্গে যুক্ত করেছিলেন সেই সময়। তিন বছর পরে অবশ্য একই বিজ্ঞানীদের মধ্যে কেউ কেউ এই গবেষণাটি অস্বীকার করেছিলেন।