গবেষণায়, চিলগোজার প্রভাব পরীক্ষা করার জন্য ইঁদুরের উপরে পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় প্রথমে ইঁদুরকে ডায়াবেটিক বানানো হয়। ডায়াবেটিক হওয়ার পর ইঁদুরের রক্তে গ্লুকোজ বেড়ে যায় এবং সিরামে ফাস্টিং ইনসুলিনের পরিমাণ আশ্চর্যজনকভাবে কমে যায়।
আরও পড়ুন: এই সহজ নিয়ম মানলেই তরতরিয়ে কমবে ওজন! মেদ ঝরানোর গোপন ফর্মুলা জেনে নিন
advertisement
শুধু তাই নয়, ইঁদুরের ওজনও কমেছে ৩৭ শতাংশ। একই সময়ে, লিভার এবং সিরামে সুপারঅক্সাইড ডিসমিউটেজ এনজাইম, টোটাল থিওল গ্রুপ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলির ক্ষমতাও হ্রাস পেয়েছে। এর পরে, এই ইঁদুরগুলিকে চিলগোজা দেওয়া হয়।
গবেষণার পর জানা যায়, চিলগোজা প্রদানের পর ইঁদুরের শরীরে ম্যালন্ডিয়ালডিহাইড এবং ফাস্টিং গ্লুকোজের মাত্রা ৪৩ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে। একই সঙ্গে ওজনও বেড়েছে ১৫ শতাংশ। এর সঙ্গে লিভার এবং সিরামে সুপারঅক্সাইড ডিসম্যুটেজ এনজাইম এবং মোট অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ক্ষমতাও বহুগুণ বেড়েছে। এর সহজ অর্থ হল চিলগোজা স্বাভাবিকভাবেই ইনসুলিন বাড়ায় এবং ফাস্টিং গ্লুকোজের মাত্রা কমায়।
সবচেয়ে বড় কথা হল চিলগোজার কারণে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমে যায় যা আরও অনেক রোগের কারণ হতে পারে।
নানাবতী ম্যাক্স হাসপাতালের সিনিয়র ডায়েটিশিয়ান ডক্টর রসিকা মাথুর জানান, চিলগোজায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে, তাই এটি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। যেটিতে আঁশের পরিমাণ বেশি, তাই রক্তে গ্লুকোজ বাড়তে দেয় না। এই অর্থে চিলগোজা ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করে। চিলগোজায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।
তাই এটি ডায়াবেটিস এবং হার্ট সংক্রান্ত রোগ থেকেও রক্ষা করে।
নতুন গবেষণায় আরও বলা হয়েছে যে চিলগোজা রক্তে শর্করা কমায় এবং ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা কমায়। ডক্টর রসিকা মাথুর জানান, চিলগোজা সীমিত পরিমাণে ব্যবহার করাই ভাল কারণ বেশি চিলগোজা পেটের সমস্যা বাড়াতে পারে।