মনোবল ভেঙে যাওয়া
বাচ্চারা কথায় কথায় রেগে যাচ্ছে বা সামান্য কথাতেই কান্নাকাটি জুড়ে দিলে বুঝতে হবে তাদের মনোবল (Child Psychology ) কম। সে কারণেই সামান্য বিষয়ে ভেঙে পড়ছে।
বদমেজাজি মনোভাব
মনোবল ভেঙে পড়ার পরের স্তরেই কিন্তু বাচ্চারা বদমেজাজি হয়ে যায়। যে কোনও রকম ভাবে নিজের মনের ভাব প্রকাশ করতে চিৎকার করে কথা বলা, বা রেগে যাওয়ার মতো অভ্যাস তৈরি হয়। যত দ্রুত সম্ভব বাচ্চাদের এই স্তর থেকে সরিয়ে আনতে হবে।
advertisement
আরও পড়ুন : চায়ের উপকরণ লঙ্কা! শরীরের জন্য খুব উপকারী এই আগুনে চা
হতাশা
বাবা-মায়ের মনের ইচ্ছে জোর করে চাপিয়ে দেওয়া, জোর করে কোনও অপছন্দের কাজ করানো ইত্যাদি থেকে হতাশা আসা স্বাভাবিক।
খামখেয়ালি মেজাজ
বাইপোলার ডিজঅর্ডারের (Bipolar Disorder) মতো মেজাজের খামখেয়ালিপনা এখন অনেক বাচ্চাদের মধ্যেই দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। এরা অতি সহজেই মেজাজ হারিয়ে ফেলে, অকারণে চিৎকার করে, এমনকি গায়ে হাত তোলার মতো অভ্যেসও তৈরি করে ফেলে।
আরও পড়ুন : মধুমেহ এবং উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে জুড়িহীন এই ফলের পাতার ক্বাথ
মানসিক আঘাত বা ট্রমা
বাইরের কোনও ঘটনার আঘাত কিন্তু বাচ্চাদের মধ্যে ট্রমা তৈরি করে। বাবা-মায়ের অত্যধিক কঠিন শাসন, পরিবারের নানান অশান্তি বা তাদের জীবনের কোনও বিশেষ ঘটনা এই ট্রমা তৈরির জন্য দায়ী। এগুলোই কিছুটা সময় পেরিয়ে রাগ বা হতাশার কারণ হয়ে ওঠে।
আচরণগত ব্যাধি
অটিজম, অবসেসিভ-কমপালসিভ ডিজঅর্ডার ইত্যাদিও বাচ্চাদের মানসিক ভাবে বিরক্ত করে যা থেকে অ্যাগ্রেশন জন্ম নেয়।
কী ভাবে প্রতিরোধ করা যেতে পারে?
অযথা বাচ্চাদের ওপর বিরক্ত না হয়ে তাদের কথা মন দিয়ে শুনতে হবে। তাদের সঙ্গে বন্ধুর মতো মেশার চেষ্টা করতে পারলে ভাল। এতে তারাই নিজের সমস্যার কথা খুলে বলবে। শুধু শুধু বাচ্চাদের শাস্তি না দিয়ে তাদের সমস্যা আইডেন্টিফাই করতে হবে। বাচ্চারা কিন্তু আমাদেরই অনুসরণ করে, তাই তাদের সামনে অত্যধিক রাগ বা ইমোশন না দেখানোই ভাল। মনে রাখতে হবে, চেষ্টা করলেই বাবা-মায়েরা বাচ্চাদের জন্য রোল মডেল হয়ে উঠতে পারেন।