পুজো উপলক্ষে অন্দরসজ্জায় (Home Decor) একটা অন্যরকম লুক আনার জন্য ঝোলানো যায় ঝাড়বাতি (Chandelier)। যা খানিকটা ঘরের অলঙ্কারের কাজ করবে। তা ছাড়া, ঘরের মধ্যে একটা আলাদাই রাজকীয়তা বিরাজ করবে। তবে অন্দরসজ্জা কেমন অথবা ঘরের মাপ কেমন- তার উপর নির্ভর করবে ঝাড়বাতির ধরন ও মাপ। তাই জেনে নেওয়া যাক ঝাড়বাতি কেনার সময় কোন কোন বিষয় মাথায় রাখতে হবে।
advertisement
ঝাড়বাতির আকার-মাপ:
যে-সে মাপের অথবা আকারের ঝাড়বাতি কিনে ফেললেই হবে না। এই জায়গাটায় অনেকেই হোঁচট খান। তাই ঝাড়বাতির মাপের একটা ধারণা আমরা দিতে পারি।
আরও পড়ুন : ত্বকের পরিচর্যাতেও দারুণ মিষ্টি; সঙ্গে থাক চিনির এই ৮ ঘরোয়া স্ক্রাব!
খাওয়ার ঘর বা ডাইনিং রুমের জন্য -
সব সময় মনে রাখতে হবে যে, ঝাড়বাতি খাওয়ার টেবিলের উপরের সারফেস-এর থেকে যেন ১২ ইঞ্চি কম হয়। আর ঝাড়বাতি ঝোলানোর সময় মাথায় রাখতে হবে যে, ঘরের চার ধারের দেওয়ালের থেকে যেন কম করে ৪ ফুট দূরত্ব বজায় থাকে। যাতে ঝাড়বাতি থেকে চারদিকে ভাল ভাবে আলো ছড়িয়ে যেতে পারে।
বসার ঘর অথবা বাড়িতে ঢোকার মুখে -
ধরা যাক, ঘরের মাপ ১২ ফুট x ১৪ ফুট। তা হলে মোটামুটি ২৬ ইঞ্চি চওড়া ডিজাইনের ঝাড়বাতি ঘরের জন্য পারফেক্ট। ঘরের মাপ অর্থাৎ ঘরের দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ যোগ করে যে মাপ আসবে, সেই মাপটা থেকেই বোঝা যাবে যে, ঝাড়বাতি কতটা চওড়া হবে।
আরও পড়ুন : সর্দিকাশির সঙ্গে জব্দ হয় অ্যানিমিয়া ও মাউথ আলসারও,বাচ্চাকে তালমিছরি খাওয়াতে ভুলবেন না
একের বেশি ঝাড়বাতি:
অনেক সময় খাওয়ার টেবিল লম্বা হলে একটা ঝাড়বাতি যেন হারিয়ে যায়। তাই তার থেকে এক সঙ্গে ২-৩টে বেশ দেখতে ভাল লাগে। অর্থাৎ পর পর কয়েকটা ঝোলালে আরও আকর্ষণীয় দেখাবে। এই সব ক্ষেত্রে একটা বড় ঝাড়বাতি কেনার থেকে ছোট-ছোট একগুচ্ছ আলোর ঝাড়বাতি দেখতে আরও সুন্দর লাগে।
অন্দরসজ্জার সঙ্গে সাযুজ্য:
ঘরের সাজের সঙ্গে মিলিয়ে ঝাড়বাতি কেনা উচিত। আধুনিক সাজসজ্জার সঙ্গে সেই ধরনের, আবার সাবেকি সাজের সঙ্গে সাবেক স্টাইলের ঝাড়বাতি মানায়। ঘরের সাজে যদি মূর্তি অথবা কোনও রকম স্থাপত্যের আধিক্য থাকে, তা হলে সাবেকি ধরনের বেশ জমকালো ঝাড়বাতি সুন্দর দেখাবে। আবার ঘরে আধুনিক সাজসজ্জা হলে খুবই ছিমছাম ডিজাইনের ঝাড়বাতি ঝোলানো উচিত!