ফুলকপির মধ্যে থাকা সালফোরেফেন যৌগ যৌগ রক্তপ্রবাহ বজায় রেখে হৃদযন্ত্রের কাজকর্ম স্বাভাবিক রাখে৷ ডায়েটরি ফাইবার এবং পটাশিয়াম থাকায় উচ্চরক্তচাপের সমস্যাতেও ডায়েটে রাখতে পারেন ফুলকপি৷ তবে রান্নায় বেশি তেলমশলা ও নুন দেবেন না৷ ফুলকপিতে ক্যালরির পরিমাণ নামমাত্র৷ ফ্যাটের পরিমাণ প্রায় নেই বললেই চলে৷ তাই লো ক্যালরি ডায়েটের অঙ্গ হিসেবে এই সব্জি ডায়েটে রাখুন৷ যাঁরা ডায়েটিং করছেন, তাঁদের জন্য উপকারী এই সব্জি৷
advertisement
আরও পড়ুন : মেদ কমিয়ে রোগা ছিপছিপে হতে চান? সঙ্গে উজ্জ্বল চুল ও ত্বক? খান অবহেলিত এই ফলের বীজ
ডায়েটরি ফাইবার, নানারকম ভিটামিনের উপস্থিতিতে ফুলকপি মধুমেহ রোগে অপরিহার্য হয়ে উঠেছে৷ মেটাবলিজমের হার ঠিক রাখে ফুলকপির খাদ্যগুণ৷ বি গ্রুপের ভিটামিন এবং কোলিন থাকায় বাচ্চাদের স্মৃতি ও মেধা বৃদ্ধির জন্যও কার্যকরী ফুলকপি৷ আধুনিক সমীক্ষায় প্রকাশ, পরিণত বয়সে অ্যালঝাইমার্সও প্রতিরোধ করে ফুলকপি৷ বিটা ক্যারটোনিয়েডস থাকায় শিশুদের দৃষ্টিশক্তি উজ্জ্বল করে ফুলকপি৷ মরশুমি অসুখ থেকে প্রতিরোধ শক্তি গড়ে তোলে ফুলকপি৷
পরিপাক ক্রিয়ায় ফুলকপি সহায়ক৷ তবে সালফারের উপস্থিতি একে মাঝে মাঝেই গুরুপাক ও দুষ্পাচ্য করে তোলে৷ ফলে পেট ভার ও গ্যাসের সমস্যা হতে পারে৷ তাই অতিরিক্ত ফুলকপি খাওয়া ঠিক নয়৷ গাউট আর্থ্রাইটিস ও থাইরয়েডের রোগীরা এই সব্জি এড়িয়ে চলতে পারলেই শ্রেয়৷ তবে রান্নার আগে ফুলকপি ভাপিয়ে জল ফেলে দেবেন৷ ফুলকপিতে অতিরিক্ত তেলমশলা দেবেন না৷ কম রাখুন নুনের পরিমাণও৷