সাধারণত মনে করা হয়, ব্যায়াম করার সময় অতিরিক্ত পরিশ্রমের জেরেই হয়তো কম বয়সিদের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বাড়ছে৷ যদিও হিন্দুস্তান টাইমসে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে একজন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞকে উদ্ধৃত করে দাবি করা হয়েছে, জিম বা ব্যায়াম করতে গিয়ে মৃত্যুর ঘটনা আসলে দীর্ঘদিন ধরে শরীরের বাসা বাঁধা উপসর্গগুলিকে উপেক্ষা করার ফল৷
advertisement
গত ১ অগাস্ট ইনস্টাগ্রামে করা একটি পোস্টে অলোক চোপড়া (এমডি, এমবিবিএস) নামে একজন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ব্যায়াম করার সময় কেন কম বয়সিরা হৃদরোগে আক্রান্ত হচ্ছেন, তা নিয়ে নিজের মত দিয়েছেন৷
ওই হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের মতে, জিমে গিয়ে মৃত্যুর জন্য ট্রেড মিলকে দায়ী করা ঠিক নয়৷ বরং এর জন্য দায়ী বছরের পর বছর শরীরের মধ্যে লুকিয়ে থাকা সমস্যাগুলি৷ যা সচরাচর নজরে পড়ে না৷ হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে যাঁরা এখন জিমে যেতে ভয় পাচ্ছেন, তাঁদের উদ্দেশ্যে ওই চিকিৎসকের পরামর্শ, ব্যায়াম ছেড়ে দেওয়া বা না করাটা সমাধান নয়৷ আসল সমাধান হল শরীরের যে সমস্যাগুলিকে উপেক্ষা করলে তার ফল ভয়ঙ্কর হতে পারে, সেগুলিকে চিহ্নিত করে চিকিৎসা করা৷
আরও পড়ুন: জিম করতে করতেই হৃদরোগে আক্রান্ত! মাত্র ২২ বছর বয়সেই চলে গেলেন বাংলার ক্রিকেটার প্রিয়জিৎ ঘোষ
ট্রেড মিলে দৌড়নো অথবা কঠিন শারীরিক কসরৎ করার সময় কেন চল্লিশ বছরের নীচে অনেকেই হৃদরোগে আক্রান্ত হচ্ছেন, তার কারণ হিসেবে শারীরিক কয়েকটি প্রক্রিয়ায় সমস্যাকেই চিহ্নিত করেছেন৷ সেগুলি হল-
- রেচন প্রক্রিয়া দুর্বল হয়ে যাওয়া৷
- ইনস্যুলিন রেজিসস্ট্যান্স কমে যাওয়া৷
- মাত্রাতিরিক্ত স্ট্রেস৷
- প্রয়োজনের তুলনায় কম ঘুম৷
- পুষ্টিহীন খাওয়া দাওয়া৷
ওই চিকিৎসকের ব্যাখ্যা, ট্রেড মিলে দৌড়তে দৌড়তে বা ভারী ব্যায়াম করতে করতে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়া বিপত্তির কারণ নয়, সেটি আসলে উপসর্গের বহিঃপ্রকাশ৷ তিনি লিখেছেন, আপনার শরীর যদি আগে থেকেই টাইম বোমার মতো টিক টিক করতে থাকে তাহলে ব্যায়াম করতে গিয়ে তাতে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে৷ ট্রেড মিল আপনার শত্রু নয়, সমস্যাকে উপেক্ষা করার প্রবণতা আসল শত্রু৷
কীভাবে এই ধরনের বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়, তার পথও বাতলেছেন অন্য আরও এক চিকিৎসক৷ নবীন ভামরি নামে ওই হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ গত ২২ জুলাই সমাজমাধ্যমে করা একটি পোস্টে পরামর্শ দিয়েছেন, আপনার হৃদযন্ত্র কেমন আছে তা জানার জন্য ইসিজি-র সঙ্গে দুটি পরীক্ষা করানো উচিত৷ সেগুলি হল টিএমটি এবং ইকো কার্ডিওগ্রাফি৷