তবু এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বেশ কিছু মিথ। যা মানুষকে হতাশ করে। একই সঙ্গে ব্যায়ামের কার্যকারিতাও হ্রাস করে। আসল সত্যটা তাহলে কী, জেনে নেওয়া যাক বেঙ্গালুরুর অ্যাস্টর সিএমআই হাসপাতাল, ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজির সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. সঞ্জয় ভাটের কাছ থেকে।
advertisement
মিথ ১: শুধুমাত্র কার্ডিও প্রশিক্ষণই লক্ষ্য—
অনেকেই ওজন কমাতে শুধু কার্ডিও ব্যায়ামের উপর ভরসা করেন। কিন্তু ভারোত্তোলনের মতো স্টেংথ ট্রেনিং-ও এক্ষেত্রে সমান কার্যকর। এতে যে শুধু পেশি সুগঠিত হয়, তাই নয়, বরং দ্রুত চর্বি গলাতেও সাহায্য করে। সপ্তাহে দু’দিন ৪০ মিনিট থেকে একঘণ্টা ভারোত্তোলন বিপাক বাড়াতেও সাহায্য করবে। ফলে বিশ্রামের সময়ও চর্বি গলবে।
মিথ ২: স্ট্রেংথ ট্রেনিং-এর আগে কার্ডিও—
ট্রেডমিল ব্যবহার করে স্ট্রেংথ ট্রেনিং-এ গেলে সমস্যা হতে পারে। কারণ, অনেকক্ষণ কার্ডিও সেশন চলার পর শরীর শুকিয়ে যেতে পারে। তাই এই সময় ভারোত্তোলন করতে গেলে আঘাত লাগতে পারে। সঠিক ওয়ার্কআউট পরিকল্পনা করতে হবে। একই দিনে দু’ধরনের অভ্যাস করার দরকার নেই। তবে যদি তেমন করতে চান কেউ, তবে প্রথমে স্ট্রেংথ ট্রেনিং করাই ভাল।
আরও পড়ুন: একেবারে বিনামূল্যে ট্যাটু! ফোন করুন এখুনি! কাদের মুখ আঁকা হচ্ছে জানেন?
মিথ ৩: খালি পেটে কার্ডিও করলে উপকার বেশি—
আসলে সুষম খাদ্য ছাড়া কারও শরীর দীর্ঘ সময়ের জন্য কাজ করতে পারে না। খালি পেটে ওয়ার্কআউট শেষ করা যায় না। খুব সহজেই ক্লান্ত লাগবে। উপরন্তু, সকালে দীর্ঘক্ষণ খালি পেটে থাকলে বিপাক ক্রিয়া কমে যেতে পারে। তাই স্বাস্থ্যকর প্রাতরাশ করেই বেরোতে হবে।
মিথ ৪: রাতের চেয়ে সকালের কার্ডিও বেশি কার্যকর—
আসলে ব্যায়াম করার কোনও নির্দিষ্ট সময় নেই। তবে ধারাবাহিকতা প্রয়োজন। ধারাবাহিক ভাবে ওয়ার্কআউট রুটিন মেনে চললেই যথেষ্ট।
আরও পড়ুন:
মিথ ৫: ১০ মিনিটের তীব্র কার্ডিও এক ঘণ্টার সেশনের চেয়ে বেশি কার্যকর—
এটি নিতান্তই ভুল ধারণা। হালকা চালে, নিয়মিত, নির্দিষ্ট সময় ধরে কার্ডিও অভ্যাস করলে ওজন কমতে বাধ্য।