ত্বকে কোনও লক্ষণ দেখা গেলে অবহেলা নয়:
ছোট ব্রণ হোক অথবা ক্ষত কিংবা ত্বকের কোনও খসখসে রক্তপাতের প্যাচ– যদি এটি কয়েক দিনের মধ্যে চলে না-যায়, তা হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। আবার ত্বকে কোনও ছোট ফোলাভাবও ক্যানসারের ইঙ্গিতবাহী হতে পারে। তাই আপনার চোখের পাতায় কোনও শক্ত ফোলাভাব বা ত্বকের কোনও দাগ দেখতে পেলে অবহেলা করা উচিত নয়৷ কারণ প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসা না-করানোয় অনেক সময়ে রোগ অনেকটা বাড়াবাড়ি পর্যায়ে পৌঁছে যেতে পারে।
advertisement
আরও পড়ুন - Weight Loss Tips: এই চারটি নিয়মেই কামাল, হু হু করে ঝরবে belly fat , শরীর হবে টানটান
যদি ম্যাসাজ করেও পিঠে ব্যথা না-যায়:
বেশির ভাগ মহিলাই পিঠের ব্যথায় ভোগেন। ঋতুস্রাব থেকে মেনোপজ পর্যন্ত প্রত্যেক মাসেই মহিলাদের পিঠে ব্যথা হতে দেখা যায়। ঋতুস্রাবের সময় ক্র্যাম্পের কারণে ব্যথা হলেও, দীর্ঘ দিন ধরে পেলভিসে এবং পিঠে ব্যথা ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে। পেটের উপরের দিকে ব্যথা প্যানক্রিয়াস ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে। আবার মেরুদণ্ডে টিউমার হলেও পিঠের নীচের দিকে ব্যথা হতে পারে।
অনিয়নিত মলত্যাগ:
এটি আরও একটি উপসর্গ, যা আমরা সাধারণত কোষ্ঠকাঠিন্য কিংবা ইরিটেবেল বাওয়েল সিনড্রোম বলে ভুল করে থাকি। অনিয়মিত মলত্যাগ হল কোলোরেক্টাল ক্যানসারের প্রাথমিক লক্ষণ। পাশাপাশি, এই লক্ষণ উপেক্ষা করার কারণ হল মহিলারা ঋতুস্রাবের আগে কোষ্ঠকাঠিন্য, ভুলে যাওয়া এবং মলে পরিবর্তন লক্ষ্য করেন। তাই যদি অনিয়মিত মলত্যাগের সঙ্গে মলের রঙের পরিবর্তন, আলস্য, ওজন হ্রাসের মতো লক্ষণগুলি থাকে, তা হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
আরও পড়ুন - Oracle Speaks: ওরাকল স্পিকস ২৬ জানুয়ারি; দেখে নিন ভাগ্যফল, জেনে নিন কোন চিহ্ন বয়ে আনছে সৌভাগ্য!
প্রস্রাবের সময়ে অস্বস্তি:
মহিলাদের মধ্যে প্রস্রাবের সংক্রমণের প্রবণতা বেশি থাকে, আর সেই কারণেই প্রস্রাবের ধরনে ঘন ঘন পরিবর্তন বেশি চোখে পড়ে। তাই মহিলাদের মূত্রনালী পরিষ্কার ও শুষ্ক রাখা এবং ঘন ঘন সংক্রমণ হলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ নেওয়া জরুরি। সংক্রমণ ছাড়াও কিডনির ক্যানসারের প্রাথমিক লক্ষণ হিসাবে প্রস্রাবে রক্ত পড়ছে কিনা, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
স্তনে পরিবর্তন:
স্তন ক্যানসার মহিলাদের মধ্যে খুবই সাধারণ। বিশেষজ্ঞদের মতে, বগলে বা কলারবোনে ফোলাভাব, স্তনবৃন্ত থেকে কোনও কিছু নিঃসৃত হওয়া, স্তনবৃন্ত ভিতরের দিকে ঢুকে যেতে থাকা, কমলা রঙের ত্বক, স্তন বা স্তনবৃন্তে ব্যথা, স্তনবৃন্ত এবং স্তনের চারপাশে চুলকানিকে ক্যানসারের প্রধান লক্ষণ হিসেবে ধরা হয়। এ ক্ষেত্রে নিয়মিত নিজে নিজে স্তন পরীক্ষা করলে প্রাথমিক অবস্থাতেই লক্ষণ শনাক্ত করা যায়। একই সঙ্গে ম্যামোগ্রাম করেও স্তনের কোষের পরিবর্তনের বিষয়ে জানা যায়।
মাসিকের মাঝে ব্লিডিং অথবা নিঃসরণ:
যদি মাসিক চক্রের মধ্যে রক্ত বা দুর্গন্ধযুক্ত প্রস্রাব হয়, তা হলে সব সময়ই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। যদিও মাসিকের আগে স্রাব মহিলাদের মধ্যে খুবই সাধারণ, তা-ও সতর্ক থাকতে হবে। সে ক্ষেত্রে স্বাভাবিক মনে না-হলে স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞের মতামত নেওয়া উচিত। দুগর্ন্ধযুক্ত স্রাব সার্ভিক্যাল, ভ্যাজাইনাল অথবা ইন্ডোমেট্রিয়াক ক্যানসারের লক্ষণ।
অনবরত কাশি:
ক্রমাগত কাশি বেশ কয়েকটি রোগের সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু অনেকেই জানেন না যে, ক্যানসারের সঙ্গেও এর সম্পর্ক রয়েছে। তাই সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সম্পূর্ণ রূপে চেক-আপ করে নেওয়াই শ্রেয়। দীর্ঘ দিনের কাশি ফুসফুস ক্যানসারের লক্ষণ৷
গিলতে সমস্যা:
মুখ, গলা অথবা খাদ্যনালীতে ক্যানসারের সব চেয়ে সাধারণ লক্ষণ হল, গিলতে অসুবিধা হওয়া বা গলায় বড় পিণ্ড অনুভব করা। যা অনেকেই অ্যাসিড রিফ্লাক্স বলে মনে করেন। তাই সেক্ষেত্রে অ্যাসিড-রিফ্লাক্সের চিকিৎসার মাধ্যমে ঠিক না-হলে খাদ্যনালী, গলা এবং মুখ ভালো ভাবে পরীক্ষা করা উচিত।
ঘন ঘন কানে ব্যথা:
কোনও সংক্রমণ ছাড়াই কি আপনার কানে ব্যথা হয়? জিহ্বা বা টনসিল এমনকি মুখের ক্যানসার হলেও এই সমস্যা হতে পারে। সেক্ষেত্রে যদি কানের ড্রপ দিয়ে লাভ না-হয়, তা হলে ক্যানসারের কোষের পরীক্ষা করে নেওয়া উচিত।