তবে, ধূমপান এক দিকে যদি লাইফস্টাইল হয়, তাহলে অন্য দিকে লাইফস্টাইল চেঞ্জেরই সাহায্য নিয়ে তা ছাড়ানোর প্রচেষ্টাও শুরু হল। যোগব্যায়াম এবং ধ্যান ধূমপান ত্যাগে সাহায্য করতে পারে কি না তা নিয়ে এখন গবেষণা চলছে। অটল মেডিক্যাল রিসার্চ ইউনিভার্সিটি এবং পাপ্রোলা আয়ুর্বেদ কলেজ নিকোটিন আসক্তি কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করার ক্ষেত্রে যোগব্যায়াম এবং ধ্যানের সম্ভাবনা অনুসন্ধানের জন্য একটি গবেষণা শুরু করেছে।
advertisement
অটল মেডিকেল রিসার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডা. সুরেন্দ্র কাশ্যপ উল্লেখ করেছেন যে ধূমপানের চিকিৎসার জন্য অনেক কার্যকর ওষুধ তৈরি করা হলেও পুনরায় ধূমপানের ঘটনা অব্যাহত রয়েছে।
ব্যক্তিদের আসক্তি কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করার জন্য যোগব্যায়াম এবং ধ্যানকে সম্পূরক পদ্ধতি হিসেবে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এই নতুন গবেষণা প্রকল্পের লক্ষ্য এখন এই দাবির সমর্থনে প্রমাণ সরবরাহ করা, যার প্রাথমিক ফলাফল আগামী ছয় মাসের মধ্যে এসে যাবে আশা করা হচ্ছে।
এই গবেষণায় দুটি দল জড়িত: এক দল শুধুমাত্র ওষুধ গ্রহণ করছে এবং অন্য দল যোগব্যায়াম এবং ধ্যান অনুশীলনের সঙ্গে সঙ্গে ওষুধও খাচ্ছে। এই পদ্ধতিটি ধূমপান ত্যাগে যোগব্যায়াম এবং ধ্যানের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা মূল্যায়ন করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। ডা. কাশ্যপ জোর দিয়ে বলেছেন যে যদি গবেষণাটি ইতিবাচক ফলাফল দেয়, তবে এটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন করতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুসারে প্রতি বছর প্রায় ৮০ লক্ষ মানুষ ধূমপানজনিত রোগে মারা যায়। ভারতে প্রায় ২৬ কোটি মানুষ তামাক বা ধূমপানের আসক্তিতে ভুগছে। ধূমপান ত্যাগ করার বিভিন্ন প্রচেষ্টা সত্ত্বেও অনেক ব্যক্তি অল্প সময়ের মধ্যেই পুনরায় আসক্ত হয়ে পড়েন।
বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে যোগব্যায়াম এবং ধ্যান শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা উন্নত করতে, মানসিক চাপ কমাতে এবং আত্মনিয়ন্ত্রণ বাড়াতে সাহায্য করতে পারে, যার ফলে ধীরে ধীরে ধূমপানের আকাঙ্ক্ষা কমে যেতে পারে। গবেষকরা আশাবাদী যে এই গবেষণার ইতিবাচক ফলাফল ভবিষ্যতে ধূমপানের আসক্তির জন্য একটি বৈজ্ঞানিকভাবে বৈধ এবং প্রাকৃতিক চিকিৎসাপদ্ধতির পথ প্রশস্ত করতে পারে।