এই প্রসঙ্গে শ্রেয়া জানিয়েছেন, তিনি ৫ বছর বয়স থেকে আঁকা শিখছেন।প্রথমে গ্রামের বাড়িতে থাকতেন। পরবর্তীতে পরিবারের সঙ্গে কাটোয়া শহরে এসে বসবাস শুরু করেন। তারপর আরও ভাল ভাবে নতুন নতুন ছবি আঁকতে এবং শিখতে শুরু করেন। হঠাৎ একদিন তাঁর মনে হয় যে তিনি নেলপলিশ খুব একটা পরেন না। আঙ্গুলের নখও বেশ বড়। তখন নখের মধ্যে কিছু ছবি আঁকবেন বলে ঠিক করে। তবে তাঁর মধ্যে ছোট থেকেই নিজের দেশের নাম উজ্জ্বল করার একটা ইচ্ছা ছিল। সেই কারণে তিনি নিজের দেশের ছবি নখের মধ্যে এঁকে ছবি আঁকা শুরু করেন। একই ভাবে মোট ৪৫ টি দেশের ছবিও আঁকেন নখের মধ্যে। বর্তমানে তাঁরা কাটোয়া শহরের বাসিন্দা হলেও তার গ্রামের বাড়ি কাটোয়া ১ ব্লকের মোস্তফাপুর গ্রামে।
advertisement
তাঁর ছবি আঁকার হাতেখড়ি হয়, কাটোয়া ১ ব্লকের নারায়ণপুর গ্রামের প্রতাপ চন্দ্র বৈরাগ্য নামের এক প্রশিক্ষকের কাছে। পরবর্তীতে, কাটোয়া শহরে এসে নীহার ব্রহ্মচারী নামের আর একজনের কাছে ছবি আঁকা শেখেন তিনি । বরাবরই ভিন্ন কিছু করার চিন্তাভাবনা ছিল তাঁর মাথায়। সেই চিন্তা ভাবনা থেকেই, নখের মধ্যে এই কাজ করেছেন। মেয়ের অনন্য এই কাজে খুশি শ্রেয়ার বাবা মাও।
নিজের মেয়ের এই কাজ প্রসঙ্গে, শ্রেয়ার বাবা পেশায় স্কুল শিক্ষক অমর চক্রবর্তী জানান,ছোটবেলায় যা পাননি এখন সেই সাফল্য তাঁর মেয়ে পাচ্ছেন। এটা তাঁর কাছে খুবই আনন্দের। তিনি বলেন তাঁর মেয়ে নখের মধ্যে ছবি এঁকে সাফল্য পেয়েছেন এটা তাঁরা প্রথমে জানতেন না। তবে পরবর্তীতে জানার পরে তিনি খুবই খুশি হয়েছেন বলে জানান।
আরও পড়ুন : সন্তানের মঙ্গলকামনায় নীলষষ্ঠী ব্রত করেন? এভাবে পুজো করলে সন্তানের কল্যাণ ও শুভ হবে
স্নাতকোত্তরের পড়াশোনা, ছবি আঁকার পাশাপাশি, মন ভাল রাখতে বিভিন্ন রকমের হাতের কাজ ও সঙ্গীতচর্চাও করেন শ্রেয়া। নিজের সৃজনশীল চিন্তা ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে আগামী দিনে আরও বড় জায়গায় পৌঁছতে চান শ্রেয়া। আগামীতে মেয়ের সফলতা , প্রতিভা আরও বৃদ্ধি পাক, চাইছেন তাঁর বাবা।