ভারতে গত কয়েক বছরে বেড়েছে স্তন ক্যানসারের ঘটনা। ২০২০ সালের সমীক্ষা বলছে সমস্ত ক্যানসারের ১৩.৫ শতাংশ স্তনে। সমস্ত মৃত্যুর প্রায় ১০.৬ শতাংশের জন্য দায়ী এটি। ভারতে প্রতি ২৮ জন নারীর মধ্যে ১ জন স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হতে পারেন। গত ৫০ বছরে স্তন ক্যানসার গবেষণা, রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির পরিপ্রেক্ষিতে এই সংখ্যাটি উদ্বেগজনক।
advertisement
কিছু বিষয় এই রোগের জন্য দায়ী—
১. জেনেটিক রিস্ক ফ্যাক্টর:
লিঙ্গ –
নারীদের মধ্যে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বেশি। সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন অনুসারে, স্তন ক্যানসারের মাত্র ০.৫-১ শতাংশ পুরুষের দেখা গিয়েছে।
বংশগতি –
পরিবারের কোনও সদস্যের এই রোগ থেকে থাকলে পরবর্তী প্রজন্মেরও হওয়ার আশঙ্কা থাকে। প্রায় ৫-১০ শতাংশ ক্ষেত্রে বংশগত জিন মিউটেশনের কারণে ঘটে এই রোগ।
হরমোনজনিত –
অল্প বয়সে ঋতুস্রাব শুরু হয় এবং অনেক বেশি বয়সে মেনোপজ হয় তাঁদের স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বেশি। প্রসব না করাও ঝুঁকি বাড়ায়। কারণ স্তনের কোষগুলি দীর্ঘ সময় ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরনের সংস্পর্শে আসে।
আরও পড়ুন: ‘পা সরু হয়ে যাচ্ছে’, অনুব্রতর জীবনে নয়া বিপদ! বিচারকের নির্দেশেও মাথায় হাত কেষ্ট-সুকন্যার
বয়স –
বয়স স্তন ক্যানসারের জন্য সবচেয়ে বড় ঝুঁকি। সাধারণত ৫০ বছরের বেশি বয়সী মহিলাদের এই সমস্যা হতে পারে। ৬৫-৭৪ বছর পর্যন্ত আক্রান্ত দেখা যায়। স্তন ক্যানসার নির্ণয়ের গড় বয়স ৪৯ বছর।
২. বাহ্যিক ঝুঁকির কারণ:
ডায়েট –
অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। প্রক্রিয়াজাত মাংস, অতিরিক্ত ভাজাভুজি এবং চিনি ইত্যাদি কম খাওয়াই ভাল।
অ্যালকোহল –
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ক্রমবর্ধমান অ্যালকোহল গ্রহণের কারণে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ছে।
আরও পড়ুন: শুভেন্দুকে আইনি নোটিস কাকলির, দিল্লির জল গড়াল বাংলায়! তুঙ্গে শোরগোল
ধূমপান –
একই ভাবে তামাক এবং নিকোটিন জাতীয় দ্রব্যের ব্যবহার স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়।
ওষুধ –
হরমোন প্রতিস্থাপন থেরাপির কিছু রূপ, যার মধ্যে থাকতে পারে মেনোপজের সময় নেওয়া ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরন। এগুলি পাঁচ বছরের বেশি খেলে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে। কিছু ওরাল গর্ভনিরোধক (জন্ম নিয়ন্ত্রণ বড়ি) স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়াতেও পারে।
নিয়মিত শারীরিক পরীক্ষা করানো প্রয়োজন বলে চিকিৎসকেরা মনে করেন। তাই সচেতনতা একান্ত প্রয়োজন।