করলা খাওয়ার কিছু বিশেষ রেসিপি আছে ৷ করলার বিশেষ কিছু রেসিপি তৈরি করলে খেতেও ভাল লাগবে তাছাড়া পুষ্টিও পাওয়া যাবে ৷ এরকমই একটি বিশেষ রেসিপি করলার আচার ৷ এই আচার খেলে করলার একদম ভিন্ন একটি স্বাদ পাওয়া যাবে ও বিভিন্ন রোগেরও উপশম মিলবে ৷
আরও পড়ুন : অকারণে মিথ্যে বলছেন সঙ্গী! কিছু সহজ উপায় সম্পর্ক বাঁচান.....
advertisement
তাহলে দেখে নেওয়া যাক এই করলার আচার বানাবেন কী করে ?
করলার আচার বানাতে বিশেষ কিছু উপকরণ প্রয়োজন-
১) ৭ থেকে ৮ টি বড় মাপের করলা ৷
২) ভিনিগার বা লেবুর রস -১ চামচ
৩) হিং
৪) সরষের তেল- ১ কাপ
৫) গরম মশলা
৬) জিরা -২ চামচ
৭) মেথি- ২ চামচ
৮) নুন-৩ চামচ
৯) মৌরি- ৪ চামচ
১০) বিট লবন- ১ চামচ
১১) সাদা সরষে বাটা-২ চামচ
১২)লঙ্কা বাটা - ১ চামচ
১৩) হলুদ বাটা -১ চামচ
কীভাবে বানাবেন এই বিশেষ আচার ?
প্রথমে ৭-৮টি করলা ভাল ভাবে গোল করে কেটে নিতে হবে ৷ তারপর করলায় ভাল ভাবে নুন মাখিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিতে হবে ৷ নুন মাখানো করলা প্রায় ৫ মিনিট গরম জলে সেদ্ধ করে নিতে হবে ৷ করলা মোটামুটি সেদ্ধ হয়ে গেলে, অতিরিক্ত জল ফেলে দিয়ে একটি শুকনো কাপড়ে মেলে প্রায় ২-৩ ঘন্টা ধরে শুকোতে হবে ৷
আরও পড়ুন : রক্তচাপ কমাতে পারে রসুন! জেনে নিন বিশেষজ্ঞদের মতামত
এবার একটি শুকনো প্যানে হিং, জিরা, মৌরি দিয়ে ভাল ভাবে ভাজতে হবে যতক্ষণ না মশলার রঙ লাল হয়ে যায় ৷
এরপর লাল হওয়া মশলাগুলি নিয়ে একসাথে গুঁড়ো করতে হবে ৷ এরপর শুকনো করলার মধ্যে তৈরি করা ভাজা মশলা দিয়ে ভাল ভাবে মিশিয়ে নিতে হবে ৷ এরপর এই করলা ও ভাজা মশলার মিশ্রণের মধ্যে সামান্য লেবুর রস দিতে হবে ৷ লেবুর রসের বদলে ভিনিগারও ব্যবহার করা যেতে পারে ৷ এরপর এই তৈরি হওয়া করলা ও মশলার মিশ্রণকে রোজ রোদে দিতে হবে ৷ প্রায় ৪ দিন পরে এই করলার আচার খাওয়া যেতে পারে ৷
বিশেষজ্ঞদের মতে , করলা ডায়েবেটিক রোগীদের জন্য একটি অত্যন্ত উপকারী সবজি ৷ করলায় থাকা ফাইটোনিউট্রেন্ট পলিপেপটাইড -পি দেহে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে ৷ তাই স্বাস্থ্য ভাল রাখতে এই আচার কিন্তু খাওয়া যেতেই পারে ৷