তবে শীতকালে পাটিসাপটা মালপোয়া পুলিপিঠের পাশাপাশি আরও একটি পিঠে রয়েছে যা সকলের খুব পছন্দের। অনেকে সন্ধ্যায় চায়ের সঙ্গে স্ন্যাকস হিসেবেও এই পিঠে খেয়ে থাকেন। সাদা সাদা বাটির মতো দেখতে এই পিঠে সকলের কাছে ভাপা পিঠে নামে পরিচিত। বর্তমানে উত্তরবঙ্গের পাহাড় থেকে শুরু করে সমতল সব জায়গাতেই রাস্তার ধারেই এই ভাপা পিঠে বিক্রি করে বেশ কিছু স্থানীয় বাসিন্দারা। সন্ধ্যা হলেই এই ভাপা পিঠের দোকানে ভিড় জমায় ৮ থেকে ৮০ সকলেই। স্বাদেগুণে ভরপুর এই ভাপা পিঠে বরাবরই সকলের পছন্দের।
advertisement
এই প্রসঙ্গে এক ভাপা পিঠে বিক্রেতা বিশ্বজিৎ কুণ্ড বলেন এই পিঠে খেলে কোনও ক্ষতি নেই। স্বাদেগুণে ভরপুর এই পিঠে সকলেরই বেশ পছন্দের। আপনি চাইলে নিজের বাড়িতেও ঝটপট বানিয়ে ফেলতে পারেন এই ভাপা পিঠে। এর জন্য আপনাকে বেশি কিছু করতে হবে না। প্রথমে চাল সিদ্ধ করে সেই চালগুলিকে ভালমতো গুঁড়ো করে নিতে হবে। এরপর একটি বাটি নিয়ে তার মধ্যে অর্ধেক চালের গুঁড়ো দিয়ে মাঝে আপনি আপনার মনের পছন্দ মত স্টাফিং করতে পারেন।
আপনি চাইলে কাজু কিশমিশ, একটু গুড় এবং নারকেল দিয়ে তার ওপরে আবার একটু চালের গুঁড়ো দিয়ে ভালমতো চেপে দিয়ে যে কোনও পাত্রে গরম জল বসিয়ে তার ওপর এটিকে ভাপাতে হবে। মাত্র ২ থেকে ৩ মিনিটেই তৈরি হয়ে যাবে আপনার মনের মতো ভাপা পিঠে। অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে পিঠাপ্রেমী ঋত্বিকা ঘোষ বলেন ‘‘বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। আর সেই অর্থেই বাঙালির কাছে পিঠে ছাড়া শীতকালটা অসম্পূর্ণ। ছুটির দিনে বা অবসর সময়ে এই শীতের মরশুমে নিজের পরিবারের জন্য সকালে অথবা সন্ধ্যায় চটজলদি বাড়িয়ে ফেলুন স্বাদেগুণে ভরপুর গরম গরম ভাপা পিঠে । একবার খেলেই মন চাইবে আরও খাই। কোনওরকম তেল মশলা ব্যবহার না করেই এই পিঠে তৈরি হওয়ায় শরীরের জন্য ও এটি অত্যন্ত ভাল। চায়ের আড্ডায় গরম গরম ভাবা পিঠে হলে আড্ডা হবে একদম জমজমাটি।