স্থূলতা এবং ব্যায়ামের মধ্যে সম্পর্ক বাড়াতে গেলে দিনের একটা বিশেষ সময় বেছে নেওয়ার পক্ষেই মত প্রকাশ করেছে একটি সাম্প্রতিক গবেষণা। সেখানে দাবি করা হয়েছে সকাল ৭ টা থেকে ৯টার মধ্যে ব্যায়াম করাই সব থেকে ভাল। গবেষকদের দাবি, তাঁরা চেয়েছিলেন সারাদিনের শরীরচর্চার সঙ্গে স্বাস্থ্যের উপর তার ফলাফল কেমন হয় তা দেখতে।
advertisement
আরও পড়ুন: হাজার হাজার টাকার ওষুধ নয়, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের নিখুঁত দাওয়াই কাঁচা কলা খান! অবিশ্বাস্য গুণ
চিনের ফ্র্যাঙ্কলিন পিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক টংইউ মা এই বিষয়ে জানিয়েছেন, এর আগে যত গবেষণা হয়েছে সেখানে শরীরচর্চা কত সময় ধরে হচ্ছে, তার তীব্রতা কত এবং কতদিন অন্তর তা করা হচ্ছে তার উপর নির্ভর শারীরিক ফলাফল বিচার করা হয়েছে।
কিন্তু সেক্ষেত্রে অনেক প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায়নি। যেমন সাধারণত মনে করা হয় সপ্তাহে ১৫০ মিনিট মাঝারি বা তীব্র শরীরচর্চা করা প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে এই ১৫০ মিনিট একই দিনে সেরে ফেলা যায়। তার প্রভাব কতখানি বা অন্য প্রভাব কেমন তা নিয়ে অনেক প্রশ্নের উত্তর অধরা ছিল। গবেষকরা ২০০৩-০৪ এবং ২০০৫-০৬ সালের ভিত্তিতে মোট ৫,২৮৫ জনের উপর সমীক্ষা চালিয়েছেন।
মাঝারি থেকে তীব্র শরীরচর্চার ক্ষেত্রে সকাল, দুপুর এবং সন্ধ্যা এই তিন ভাগে ভাগ করে দেখা হয়েছে। দেখা গিয়েছে যাঁরা সকালে মাঝারি থেকে তীব্র শরীরচর্চা করে থাকেন তাঁদের মধ্যে বেশ গভীর প্রভাব পড়েছে। অন্যদের তুলনায় অনেকটাই বেশি। দেখা গিয়েছে এঁরা অন্যদের তুলনায় রোগা, উদরের মেদও কম।
আরও পড়ুন: বচ্চন নয়, অমিতাভের পদবী অন্য! এক বিশেষ কারণ রয়েছে নেপথ্যে; ৯৯ শতাংশ জানেন না
এমনকী এই সকালের দলের সামগ্রিক বয়স অন্য দু’টি দলের তুলনায় প্রায় ১০-১৩ বছর বেশি। তাঁরা দিনের একটা বড় অংশ প্রায় বসে বসে কাটিয়ে দেন, অন্যদের তুলনায়। তবুও তাঁদের শরীরে মেদের প্রভাব কম।
ক্লিনিক্যাল ফিসিওলজিস্ট রেবেকা ক্রুকোস্কি জানান, এই গবেষণার ফল খুবই আকর্ষণীয়। এটা থেকে বোঝা যায় সকাল সকাল শরীরচর্চা করে নেওয়ই ভাল। নাহলে ফোন, ইমেল, মিটিং-এর ঝামেলায় সব গোলমাল হয়ে যেতে পারে।
তবে এখানে একটা অন্য বিষয় রয়েছে। সকালে যাঁরা শরীরচর্চা করেন তাঁদের জীবন কি অনেক বেশি ছকে বাঁধা! তাঁদের হয়তো কাজের সময়ে পরিবর্তন হয় না। তার প্রভাবও পড়তে পারে শরীরের উপর। এই বিষয়ে নজর দিতে বলেছেন ক্রকোস্কি।