হজমে সাহায্য করে: কাঁচা পেঁপে ডায়েটারি ফাইবারে সমৃদ্ধ। যা গাঁজানো স্টার্চ তৈরি করতে সাহায্য করে যা শেষ পর্যন্ত অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়ার জন্য খাদ্য (প্রিবায়োটিক) হয়ে ওঠে। ফলে অন্ত্র থাকে সুস্থ সবল।
আরও পড়ুন: অকালপক্বতা, বলিরেখাকে আটকে রেখে চিরতরুণী থাকতে চাইলে প্রাণভরে পান করুন আখের রস
advertisement
ডেঙ্গির সঙ্গে লড়ে: ডেঙ্গি হলে প্রচণ্ড জ্বর হয়। কমে যায় প্লেটলেট। এই পরিস্থিতিতে হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারে পেঁপে। ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীকে পেঁপে পাতার রস খেতে বলেন অনেকেই। এটা শ্বেত রক্তকণিকার প্লেটলেট সংখ্যা বাড়াতে সাহায্য করে। যদিও এই তত্ত্বের কোনও বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই।
কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি: কাঁচা পেঁপেতে বেশ কিছু স্বাস্থ্যকর এনজাইম থাকে। এগুলো পেট পরিষ্কার রাখে এবং টক্সিন-মুক্ত হজম প্রক্রিয়া পেতে সাহায্য করে। কাঁচা পেঁপে প্রকৃতিতে অ্যান্টি-পরজীবী এবং অ্যামিবিক বিরোধী। ফলে পেট ঠান্ডা থাকে। গ্যাস্ট্রিক সিস্টেমকে অস্বাস্থ্যকর গ্যাস সংগ্রহে বাধা দেয়।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে: সবুজ পেঁপেতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ খনিজ রয়েছে। এগুলো শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এই খনিজগুলি ইনসুলিন নিঃসরণ বাড়াতেও সহায়ক। এটি মূল এনজাইমের বিরুদ্ধেও কাজ করতে পারে, যা টাইপ ২ ডায়াবেটিসের জন্য দায়ী।
আরও পড়ুন: গুড় খাওয়ার দিন আসছে, কী ভাবে চিনবেন কোনটা সবচেয়ে বেশি ভাল
ওজন কমাতে সহায়ক: ওজন কমাতে প্রতিদিন খাবারের সঙ্গে কাঁচা পেঁপে খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এতে শরীরে জমে থাকা অতিরিক্ত চর্বি দূর হয়। এ জন্য দইয়ের সঙ্গে গ্রেট করে কাঁচা পেঁপে খাওয়া যায়, কিংবা স্যালাড হিসেবে।
বুকের দুধ খাওয়ালে: যে মহিলারা শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ান তাঁদের পুষ্টির প্রয়োজন বেশি। তাই তাঁদের কাঁচা পেঁপে খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। কারণ এটা শরীরের সমস্ত এনজাইমের ঘাটতি পূরণ করে দুধ বাড়াতে সাহায্য করে।
(Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)