একেবারে সম্প্রতি, সঠিক ভাবে বললে শুক্রবার এক ঘরোয়া আসরে রিঙ্কু মজুমদারের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। বয়স এখন তাঁর ৬০। দেশের ডাকসাইটে ক্রিকেটার অরুণ লালও ৬৬ বছর বয়সে বিয়ে করেছিলেন বুলবুল সাহাকে। হলিউডের বিখ্যাত নায়ক, নায়িকা মাইকেল ডগলাস আর ক্যাথরিন জিটা জোনসেরও বেশি বয়সে বিয়ে।
advertisement
বিখ্যাত ব্যক্তিত্বদের কথা ছেড়ে দিলেও দেখা যাচ্ছে যে সমাজে আজকাল বেশি বয়সে বিয়ে করার প্রবণতা বাড়ছে, সে প্রথমই হোক বা তার পরে আবার! সত্যি বলতে কী, বেশি বয়সে বিয়ে করার কিন্তু বেশ কিছু সুবিধে আছে। এটা নিয়ে কেউ বড় একটা ভেবে না দেখেই ব্যঙ্গ করেন!
যৌথ উপার্জন: এটা যে সবচেয়ে বড় সুবিধে, তা আর বলে দিতে হয় না। দুজন প্রাপ্তবয়স্ক বিয়ে করলে দুজনেই উপার্জনে সক্ষম, এমনটা ধরে নিয়ে এগোনোই ভাল! ফলে, আর যা-ই হোক, কারও একার ঘাড়ে সংসার টানার জোয়াল এসে পড়ে না!
সমস্যা কম: দাম্পত্য কলহ বিয়েরই একটা অংশ, ওটা বাদ দিয়ে বিয়ে হয় না, ঠিক যেমন আলু ছাড়া কলকাতার বিরিয়ানিও হয় না। পরিণত বয়স এবং মন থাকলে সেই সমস্যা খুব চট করেই মিটিয়ে ফেলা যায়, পরে তা নিয়ে নিজেদের মধ্যে হাসাহাসি করতে করতে ঘনিষ্ঠতাও বাড়ে!
দীর্ঘ আয়ু: সমীক্ষা বলছে, একা থাকলে না কি নির্দিষ্ট আয়ু থেকে ১০ বছর কমে যায়- সে হতাশাতেই হোক বা একা সব কাজ সামলানোর দরুণ! কিন্তু গাঁটছড়া বাঁধলেই মুশকিল আসান, আয়ু না কি বাড়ে!
অবশ্য, এই পৃথিবীতে একচেটিয়া সুখ বলে যে কিছু হয় না, সে তো জানা কথাই, সান আর সানস্ক্রিন দুই সঙ্গে নিয়ে চলতে হয়। ফলে, বেশি বয়সে বিয়ে থেকে কিছু ফ্যাসাদও বাধতে পারে বইকি, সেগুলোও মেপে নিলে মন্দ হয় না!
আর্থিক সমঝোতার অভাব: একা থাকতে থাকতে মানুষের একটা নিজের আর্থিক অভ্যাস তৈরি হয়ে যায়। ফলে, একজনের মত অন্যের মেনে নিতে সমস্যা হতেই পারে।
চিকিৎসার খরচ: বয়স যত বেশি হবে, চিকিৎসার খরচ তত বাড়বে, এটা সাধারণ হিসেবের মধ্যে পড়ে। এবার বেশি বয়সে বিয়ে মানে পরিবারে একজনের বদলে দু’জনের উচ্চ চিকিৎসার খরচ, উপার্জনের অনেকটাই সে দিকে চলে যাবে।
সন্তানের সুখ: সন্তান সুখ জীবনে আসবে কি আসবে না, বেশি বয়সের বিয়ে নিয়ে এই প্রশ্ন ওঠে বইকি! সন্তান এলেও সেই সুখ কত দিন স্থায়ী হবে, তাও ভেবে দেখার বিষয়। বেশিরভাগ বেশি বয়সের বিয়েতে মা-বাবাকে সন্তান আর পৃথিবী দুই ছেড়ে চলে যেতে হয় সাধ মেটার আগেই, অতএব, সন্তানের ভবিষ্যতের বিষয়টাও ভাবতে হবে।