ভিক্ষে করে যেটুকু পাওয়া যায় তাতেই চলে সংসার। এই দম্পতির একে অপরের পাশে থাকা এবং তাঁদের নিখাদ ভালবাসাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন সকলে। পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরার সত্যপুর অঞ্চলের ইটাই গ্রামের এই দম্পতি মনে করিয়ে দেন ভালবাসা মানে শুধু হৃদয়ের বাঁধন নয়, বরং তার মানে জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত একে অপরের অবিচ্ছেদ্য সঙ্গী হয়ে থাকার অঙ্গীকার। ৭০ পেরিয়ে যাওয়া এক বৃদ্ধ, যাঁর চোখে আর আলো নেই। আর তাঁর পাশে ছায়া হয়ে থাকা এক বৃদ্ধা, যাঁর পা চলে না তবু দু’হাতে ভর দিয়ে পথ হাঁটেন।
advertisement
আরও পড়ুন : রোজ সকালে এই চায়ে চুমুক দিলেই কেল্লা ফতে! গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে বেরিয়ে যাবে কিডনির পাথর! ব্লাড সুগারেরও যম
দুজনেই একে অপরের অসম্পূর্ণতা পূর্ণ করে আজও একসঙ্গে বাঁচার চেষ্টা করেন। সংসার নেই, রোজগার নেই, সন্তান-সন্ততি নেই পাশে—আছে শুধু একে অপরের হাত। প্রতিদিন তাঁরা বের হন ভিক্ষে করতে। ঘষতে ঘষতে অনেকটা সময় তাঁরা যান এক দোকান থেকে আর এক দোকান। দিন আনি দিন খাই-উপার্জনের টাকায় চলে স্বামী-স্ত্রীর পেট।
বৃদ্ধার হাত কাঁপে, তবু তিনি বৃদ্ধের হাত ধরে হাঁটেন। বৃদ্ধ কিছুই দেখতে পান না, তবু পথ দেখাতে ভোলেন না তাঁর ভালবাসার মানুষটিকে। দু’টো শরীর এবং অভিন্ন হৃদয়ে তাঁদের প্রতিদিনের দিন যাপন চলে। তাঁদের দেখে বাজারে থাকা মানুষ থমকে দাঁড়ান। কেউ এগিয়ে দেন এক মুঠো চাল, কেউ কিছু টাকা। তাঁরা কৃতজ্ঞ চোখে তাকান ওদের দিকে। শুধুই বলেন, “ভাল থাকো বাবা।”
এই গল্প কেবল দারিদ্র্রের নয়, এই গল্প এক জীবন্ত ভালবাসার, যেখানে সবকিছু হারিয়ে ফেলার পরেও, একে অপরকে হারাননি তাঁরা। তাঁদের এই প্রতিদিনের কষ্টের দিন যাপনকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলে।