আবার কখনও কখনও ত্বকে আমাদের মানসিকতার প্রতিফলনও পড়ে যায়। তাই ত্বকে যে কোনও প্রোডাক্ট লাগাতে হলে সতর্ক থাকা উচিত। সে ক্ষেত্রে বেছে বেছে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করাই শ্রেয়। তাই আয়ুর্বেদের প্রাচীন ঐতিহ্যে আমরা বিশ্বাস রাখতে পারি। এ ক্ষেত্রে আয়ুর্বেদের কুমকুমাদি তেল ত্বকের যত্নে অবশ্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।
অলৌকিক অমৃত হিসাবে পরিচিত এই তেলটি নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বক সোনার মতো উজ্জ্বল হয় বলে কথিত রয়েছে। কুমকুমাদি তেল হল আক্ষরিক অর্থে জাফরান তেল, যা ত্বক উজ্জ্বল করার জন্য পরিচিত। মূলত এই তেলটি ত্বকের কোষকে পুনরুজ্জীবিত এবং ত্বকের জেল্লা ফোটাতে, ত্বককে উজ্জ্বল করতে এবং ত্বকের তারুণ্য এবং স্বাস্থ্যকর রাখার জন্য বিখ্যাত। তাহলে বিশেষ এই তেলটি কী ভাবে আমাদের ত্বকের পরিচর্যায় অন্যতম ভূমিকা পালন করে জেনে নেওয়া যাক।
advertisement
ত্বকের ধরন বদল করে
ত্বক নির্দিষ্ট ধরনের প্রোটিন দিয়ে তৈরি যা আমাদের ত্বককে মোলায়েম ও কোমল রাখে। তাই কুমকুমাদির তেলে থাকা উপাদানের কারণে এটি ব্যবহার করলে ত্বকের ধরন উন্নত হয়। যার ফলে মুখের বলিরেখা এবং সূক্ষ্ম রেখাও দূর হয়ে যায়।।
আরও পড়ুন - Ravi Bishnoi: ঝাক্কাস পারফরম্যান্সের দিনে সামাণ্য চোনা! বাউন্ডারি রোপে কি করলেন রবি, ভাইরাল ভিডিও
ত্বকে জেল্লা আনে
এই তেলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল ত্বকে প্রাকৃতিক ভাবে জেল্লা ফিরিয়ে আনা এবং ত্বককে সুরক্ষিত রাখা। ত্বকের কোষগুলিকে ক্ষতির হাত থেকে বাঁচিয়ে দীর্ঘ সময়ের জন্য ত্বকে তারুণ্য ও সতেজতা নিয়ে আসে। কয়েক দশক ধরে কুমকুমাদি তেল ত্বকের জেল্লার জন্য কাজ করে চলেছে।
আরও পড়ুন - Virat and Rohit: হেব্বি ভাব বিরাট ও রোহিতের, কোহলির পরামর্শেই ডিআরএস, ভাইরাল ভিডিও
বার্ধক্যের লক্ষণ প্রতিরোধ করে এবং ব্রণ কমায়
কুমকুমাদি তেল এমন একটি আয়ুর্বেদিক তেল যা বিভিন্ন ধরনের ত্বকের সমস্যায় কাজ করে। ত্বকে ব্রন হলেও এটি লাগানো যায়। এটি ত্বকের টিস্যু পুনরুজ্জীবিত করে ব্রনর দাগ কমায়। দাগ ও বলিরেখা দূর করার পাশাপাশি সূক্ষ্ম রেখা এবং বার্ধক্যের লক্ষণ দূর করতে সাহায্য করে। সোরিয়াসিস, একজিমা, ব্রণ, রোসেসিয়া এবং বিভিন্ন ত্বকের সমস্যায় ব্যবহৃত হয়। সাধারণত ঘুমানোর আগে কুমকুমদি তেল লাগালে ভালো কাজ হয়। তারুণ্য, স্বাস্থ্যকর এবং উজ্জ্বল ত্বকের জন্য কুমকুমাদি তেলের নিয়মিত ব্যবহার করলে তা ত্বকের কোষের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে এবং বার্ধক্যের লক্ষণগুলি কমায়। এটি ত্বককে ঠান্ডা এবং সুস্থ স্বাস্থ্যকর রেখে শরীরের তাপমাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করে।
রোদে পোড়া ভাব দূর করে
কুমকুমাদি তেল কার্যকরী ভাবে ট্যান দূর করে। এটি এক ধরনের ভেষজ চিকিৎসা যা বিভিন্ন ধরনের ত্বকে ব্যবহার করা যায়। ট্যান দূর করার জন্যেও এটি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কুমকুমাদি তেলের মূল উপাদান কেশরের জন্যও এটি ত্বকের ট্যান দূর করতে খুবই ভালো কাজ করে।