ভিটামিন ই ক্যাপসুল আশীর্বাদের মতো। স্বাস্থ্যোজ্বল ত্বকের জন্য এটা খাওয়া যায় কিংবা মুখে লাগানো যেতে পারে। ডার্ক সার্কেল এবং পিগমেন্টেশন আটকাতে এটা দুর্দান্ত কাজ করে। ভিটামিন ই তেলের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি এজিং বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটা ফোলা ত্বক এবং ত্বকের লালাভাব কমাতে দারুণ সাহায্য করে।
মুখে ভিটামিন ই ক্যাপসুল লাগাতে হবে কীভাবে: ভিটামিন ই ক্যাপসুল কেনার সময় যাতে সেটা প্যারাবেন মুক্ত এবং জৈব হয় সেটা দেখে নিতে হবে। এর জন্য ত্বককেো প্রস্তুত করতে হবে। হালকা ক্লিনজার ব্যবহার করতে ভুললে চলবে না। এর পর ত্বক ভালো করে মুছে নিতে হবে। এবার হাতের তালুতে ক্যাপসুল নিয়ে হালকা চাপ দিয়ে ফাটিয়ে ফেলতে হবে। এবার সেটা মুখ বা যে জায়গায় লাগানো দরকার, সেখানে প্রয়োগ করতে হবে। লাগানোর পর হালকা মাসাজ করা যায়, যাতে তা ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে। দিনে একবার মুখে বা শরীরের অন্য কোনও অংশের ত্বকে লাগালে সবচেয়ে ভালো ফল পাওয়া যাবে।
advertisement
ভিটামিন ই ফেস মাস্ক তৈরির পদ্ধতি: ভিটামিন ই তেল ক্যাস্টর অয়েলের মতোই ঘন এবং পুরু। এই শক্তিশালী উপাদানটা ফেস মাস্কের ভিত্তি হিসেবে দারুণ কাজ করে।
আরও পড়ুন - Birbhum News: চায়ের দোকানে জড়ো হয়েছিল ওরা! দেখে সন্দেহ হতেই পুলিশকে খবর, চাঞ্চল্যকর পর্দাফাঁস
অ্যালোভেরার সঙ্গে: প্রথমে অ্যালোভেরার পাতা কেটে জেল বের করে নিতে হবে। এবার তার সঙ্গে ভিটামিন ই তেল মিশিয়ে সেটা লাগাতে হবে মুখে। ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে হবে ঠান্ডা জলে। বাড়িতে অ্যালোভেরা গাছ না থাকলে বাজার থেলে জেল কিনেও এই মাস্ক তৈরি করা যায়।
পেঁপে, গোলাপ জলের সঙ্গে: পেঁপেতে প্রচুর পরিমাণে প্যাপেইন এনজাইম রয়েছে যা ত্বকে নতুন কোষ গঠনে সাহায্য করে। এক চামচ পেঁপে ভালো করে পিষে নিয়ে তাতে ভিটামিন ই তেল এবং গোলাপ জল মিশিয়ে মুখে লাগাতে হবে। শুকানোর জন্য রাখতে হবে ১৫-২০ মিনিট। তার পর ধুয়ে ফেলতে হবে গরম জলে।
আরও পড়ুন - Commonwealth Games 2022: এবারের কমনওয়েল গেমসে ভারত নিশ্চিত পেতে পারে ‘এই’ পদকগুলি
গ্রিন টি এবং মধুর সঙ্গে: ফুটন্ত জলে এক চা চামচ গ্রিন টি ভালো করে ফুটিয়ে নিতে হবে। তার পর এটা ঠান্ডা করে ছেঁকে নিয়ে তাতে দিতে হবে এক চামচ মধু এবং একটি ভিটামিন-ই ক্যাপসুল। ভালোভাবে মিশিয়ে মুখে লাগাতে হবে। ১৫-২০ মিনিট পর হালকা গরম জলে ধুয়ে ফেলতে হবে মুখ।