ভারতীয় রান্নায় মশলা হিসাবে তেজপাতার খুবই কদর। এই পাতার অনেক রকম ঔষধি গুণও রয়েছে। শুধু রান্নায় ফোড়ন হিসেবেই নয়। তেজপাতা ফুটিয়ে চায়ের মতোও পান করা যায়। এটি অনেক রকম রোগ থেকে মুক্তি দিতে পারে বলে মনে করা হয়। প্রতিদিনের ব্যবহারের জন্য তেজপাতা প্রয়োজন হয়।
আরও পড়ুন: ‘মহুয়ার পাশে দল ছিল-থাকবেও’, বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করে লড়াইয়ের বার্তা মমতার
advertisement
বিহারের সমস্তিপুরের কৃষক রৌশন কুমার বলেন, তিনি চিকিৎসকের কাছে শুনেছিলেন যে তেজপাতা অনেক রোগের চিকিৎসায় ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। হজমশক্তির উন্নতির পাশাপাশি গাঁটের ব্যথা, রক্তের বিশুদ্ধকরণ, দাঁত সাদা করা, মাথাব্যথা, রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, মাইগ্রেন, গ্যাস্ট্রিক আলসার, সর্দি, কাশি, ডায়রিয়া, হাঁপানি ইত্যাদি অনেক রোগেও এর সেবন উপকারী। ভিটামিন সি, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ডাইজেস্টিভ কপার, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন, জিঙ্ক ইত্যাদি খনিজ তেজপাতা পাওয়া যায়। তিনি জানান, যেকোনও জমিতে তেজপাতা গাছ রোপণ করা যায়। এতে বছরের পর বছর তেজপাতা কেনার প্রয়োজন পড়বে না। আয়ও হতে পারে ভাল।
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার খোয়ানোর পরই ভয়ঙ্কর ঘটনা, হাসপাতালে ভর্তি কেসিআর!
একটি গাছ থেকে বার্ষিক ৫ লাখ টাকা আয়:
সাক্ষাৎকারে কৃষক রৌশন কুমার বলেন, একটি তেজপাতা গাছের দাম মাত্র ১৫০ টাকা। যেকোনও মানুষ তাঁদের বাড়ির উঠোনে এই গাছের চারা রোপণ করতে পারেন। এর ফলে সারা বছর তেজপাতা কেনার প্রয়োজন হয় না। বরং তেজপাতা বাণিজ্যিক ভাবে চাষ করে প্রচুর লাভও পাওয়া যেতে পারে। তেজপাতা চাষে শ্রম ও খরচ দুটোই কম লাগে। একবার রোপণ করলে একটি গাছ বহু বছর ধরে ফসল উৎপাদন করে।
বাজারে এর দাম কুইন্টাল প্রতি ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে। একটি গাছ এক বছরে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় দিতে পারে। ১০০টি গাছ লাগিয়ে সহজেই বার্ষিক পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করা যেতে পারে।