বাঁকুড়া জেলার প্রাগৈতিহাসিক ভূখণ্ড শুশুনিয়া পাহাড়। পাহাড়ে ওঠার মুখ্য রাস্তার পাশে এই অবস্থান করছে নরসিংহ মন্দির। মন্দিরকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন লোককথা এবং বিশ্বাস। নরসিংহ মন্দিরের সামনেই প্রাচীনকাল থেকে বয়ে চলেছে একটি ক্ষুদ্র ঝরনা। স্থানীয় সূত্রে জানা গেল শীত গ্রীষ্ম বর্ষা এই ঝরনা কখনওই শুকিয়ে যায় না। ঝরনা থেকে শীতকালে বেরোয় গরম জল এবং গ্রীষ্মকালে বেরোয় ঠান্ডা জল।
advertisement
ঝরনার সামনেই রয়েছে একটি পুকুর, আঞ্চলিক নাম গড়। এই গড়েই জমা হয় ঝরনার জল। তবুও কোনও দিন একটি নির্দিষ্ট উচ্চতার উপরে ওঠে না গড়ের জলস্তর। এছাড়াও রয়েছে চন্দ্রবর্মার শিলালিপি। পাহাড়ের পশ্চিম প্রান্তে একটি দুর্গম গুহায়, খুঁজে পাবেন ইতিহাসের ছোঁয়া। সঙ্গে শুশুনিয়া পাহাড়ের দুর্দান্ত বনজ সম্পদ। পাহাড় ছেড়ে রয়েছে নাম না জানা বহু ভেষজ উদ্ভিদে।
আরও পড়ুন : নগরপারে রূপনগর! শান্তিনিকেতনে খোয়াই সোনাঝুরি তো অনেক দেখলেন, এ বার চলুন মনভোলানো এই গ্রামেও
বাঁকুড়া জেলার প্রাকৃতিক প্রাণভোমরা শুশুনিয়া পাহাড়। পাহাড়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের টানে প্রতি বছর জমা হন অসংখ্য পর্যটক। কিছু আগ্রহী পর্যটককে দেখা যায় ঝরনা এবং গড়ের সামনে। যদি ওই ঝরনার উৎস এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি বলেই জানা গিয়েছে। ঝরনা এবং ঝরনার সামনের গড়ের ইতিহাস স্থানীয়দের একাংশের মতে নরসিংহ মন্দিরের মহিমামণ্ডিত। শীত জাঁকিয়ে পড়ার আগে এখনই বোধহয় সবচেয়ে উপযুক্ত সময় শুশুনিয়া পাহাড় ঘুরে দেখার। একপ্রকার আদিবাসী সংস্কৃতি, প্রাগৈতিহাসিক প্রেক্ষাপট, ভেষজ উদ্ভিদের সম্ভার এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের একটি দুর্দান্ত কম্বিনেশন বাঁকুড়ার এই পর্যটন কেন্দ্র।