TRENDING:

বাব্বুগোশা বনাম নাসপাতি; কোনটা শরীরের জন্য বেশি ভাল? জানুন কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা

Last Updated:

আসলে ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ফলের বাজারেও পরিবর্তন দেখা যায়। অর্থাৎ এক ফলের ঋতু শেষ হতে না হতেই নতুন ঋতুর সঙ্গে বাজারে হাজির হয় নতুন কোনও ফল।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
Babbugosha VS Pear: ভারতে সব ক’টা ঋতু সুন্দর ভাবে পরিলক্ষিত হয়। আর এই দেশে বিভিন্ন ঋতুতে রকমারি ফল হতেও দেখা যায়। আসলে ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ফলের বাজারেও পরিবর্তন দেখা যায়। অর্থাৎ এক ফলের ঋতু শেষ হতে না হতেই নতুন ঋতুর সঙ্গে বাজারে হাজির হয় নতুন কোনও ফল। যেমন – তরমুজ, খরমুজ আর আমের মরশুম শেষ হতেই বাজারে নাসপাতি, বাব্বু গোশা এবং জাম উঠতে শুরু করে।
বাব্বুগোশা বনাম নাসপাতি
বাব্বুগোশা বনাম নাসপাতি
advertisement

আরও পড়ুন- উড়ান ধরার তোড়জোড় চলছিল, আচমকাই বিমানসেবিকাকে মোজা খোলার নির্দেশ দেন অফিসারেরা ! তারপর যা হল… দেখে চক্ষু চড়কগাছ সকলের

এই সময়কার বাব্বু গোশা এবং নাসপাতি আবার একই শ্রেণীর আলাদা দুটি ফল। দেখতে একরকম হলেও কিছু পার্থক্য অবশ্য রয়েছে। যেমন – একটি ফলের দাম বেশি আর অন্যটি অবশ্য বেশ সস্তা। আবার একটি ফল বেশ নরম প্রকৃতির, তো আর একটি একটু শক্ত প্রকৃতির। তবে বাব্বু গোশা খেতে নাসপাতির থেকে ভাল লাগবে। এমনকী, এটি পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ হওয়ায় একে ঈশ্বরের ফল বলেও ডাকা হয়। সেদিক থেকে আপেলকেও টেক্কা দিতে পারে এই ফল।

advertisement

দুই ফলের ফারাক:

নাসপাতি: এই ফল সাধারণত ভারতে হয়। আর ভারতীয় জলবায়ুতে উৎপন্ন নাসপাতির খোসা সাধারণত মোটা হয়। আর তা খেতেও একটু মচেমচে প্রকৃতির। তবে নাসপাতিতে রস থাকে ভরপুর। দীর্ঘ সময় ধরে তা সংরক্ষণ করা যায়, সহজে নষ্ট হয়ে যায় না। সারা বিশ্বে তিন হাজার প্রজাতির ‘Pear’ মেলে।

advertisement

বাব্বু গোশা: পিয়ার প্রজাতির এই ফল ইউরোপীয় দেশগুলিতে উৎপন্ন হয়। ভারতীয় নাসপাতির তুলনায় এটি নরম এবং মিষ্টি। রসের থেকে এর মাংসল উপাদান বেশি হয়। গাছেই পাকে বাব্বু গোশা এবং নাসপাতির তুলনায় কম সংরক্ষণ করা যায়।

আরও পড়ুন– মাটি খুঁড়তেই ঘণ্টার মতো আওয়াজ ! ওরছায় মিলল ৫০০ বছরের পুরনো মন্দিরের মতো কাঠামো

advertisement

উপাদানের পার্থক্য: বাব্বু গোশা ফাইবার সমৃদ্ধ। এর পাশাপাশি এর মধ্যে থাকে ভিটামিন কে, পটাশিয়াম, ভিটামিন সি এবং ফ্ল্যাভোনয়েডের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও। এই ফলে ক্যালোরির পরিমাণ খুবই কম। যার জেরে বাব্বু গোশা কনস্টিপেশন বা কোষ্ঠকাঠিন্য উপশম করে। সেই সঙ্গে পরিপাক ক্রিয়া এবং ওজন হ্রাসের জন্যও তা উপযোগী। শুধু তা-ই নয়, কোলেস্টেরল কমায় এবং সংক্রামক রোগও নিরাময় করে এই ফল।

advertisement

এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, অ্যামাইনো অ্যাসিড, প্রোটিন, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, থায়ামিন, ফোলেট, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, মিনারেল, ম্যাগনেশিয়াম ও কপারের মতো উপাদান পাওয়া যায়। ফলে এই ফলকে ঈশ্বরের উপহার বলা হয়। আর ন্যাসপাতি বেশ সস্তাও বটে। আপেলের থেকেও এর পুষ্টিগুণ বেশি। তাই একে সস্তার আপেল বলেও ডাকা হয়।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুরীর রথ এবার রঘুনাথপুরে, থিমে মন কাড়ছে আপার বেনিয়াসোলের দুর্গাপুজো মণ্ডপ
আরও দেখুন

স্বাস্থ্যের জন্য: পুষ্টিবিদদের মতে, কেউ যদি জুলাই-অগাস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ৩ মাস নাসপাতি খান, তাহলে তাঁর শরীরে এই ফলের মধ্যে থাকা নিউট্রিয়েন্ট জড়ো হয়। ফলে সুস্থ থাকতে পারেন সেই ব্যক্তি। যদি এই তিন মাসে বাব্বু গোশা না-ও খেতে পারেন, তাহলে এই সময়ের মধ্যে নিয়মিত নাসপাতি খেতে হবে।

বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
বাব্বুগোশা বনাম নাসপাতি; কোনটা শরীরের জন্য বেশি ভাল? জানুন কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল