উষ্ণ জলে হাল্কা চুমুক
উল্টোপাল্টা খাবার খেলে এবং দূষণের জন্য শরীরে এক প্রকার টক্সিন বা বিষ তৈরি হয় ৷ যা ওজন বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ। ঠাণ্ডার পরিবর্তে গরম জল পান করলে এই টক্সিন শরীর থেকে বেরিয়ে যায়।
পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম
রাত দশটা থেকে সকাল ছ’টা পর্যন্ত ঘুম হল আদর্শ। অন্তত আয়ুর্বেদ তাই বলে। শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী ঘুম না হলে শারীরিক ও মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
advertisement
রাতের খাবার হালকা খেতে হবে
রাতে হালকা খেলে সেটা শরীরের পক্ষে হজম করা সোজা হয় এবং শরীরের যে স্বাভাবিক বিষমুক্তিকরণ প্রক্রিয়া চলে সেটা ভালো ভাবে সম্পন্ন হয়। আয়ুর্বেদ বলে রাতের খাবার সন্ধে সাতটার আগে শেষ করে নিতে। এতে খাবার তাড়াতাড়ি হজম হয়।
আরও পড়ুন : ঘরোয়া খাবারই জাদুকাঠি! মহিলাদের ডায়েটে থাকতেই হবে এই সুপারফুডগুলি
প্রতি দিন তিনবার খেতে হবে
খাবার হজম করার যে প্রক্রিয়া শরীর সম্পন্ন করে তার ফাঁকে ফাঁকে শরীরের বিশ্রামের প্রয়োজন হয়। তাই বেশি মাত্রায় খেলে শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ে। দিনে তিনবার খেলে এবং মাঝখানে অন্য কিছু না খেলে এই প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়।
খাওয়ার পর হাঁটাহাঁটি করতে হবে
শুধু আয়ুর্বেদ কেন, যে কোনও শাস্ত্রই বলে যে শারীরিকভাবে সক্ষম থাকা খুব দরকার। যদি জিমে যাওয়া বা এক্সারসাইজ করা সম্ভব না হয় তাহলে প্রতি মিলের পর ১০ থেকে ২০ মিনিট হাঁটলে খাবার সহজে হজম হবে।
মরসুমি ফল ও সবজি খেতে হবে
যে ঋতুতে যে ফল বা সবজি পাওয়া যায় সেটা খেতে নির্দেশ দেওয়া আছে আয়ুর্বেদে। কারণ গ্রীষ্মের ফল ও সবজি শরীর ঠাণ্ডা রাখে এবং শীতের ফল, সবজি ও বাদাম শরীর উষ্ণ রাখে।
আরও পড়ুন : পুষ্টিগুণে অতুলনীয় করলার রস রোজ খান? এর ক্ষতিকর দিকগুলো জানেন তো?
খাবারের ছয় রকমের স্বাদ
আয়ুর্বেদ খাবারকে ছয় ভাগে ভাগ করে। যেমন মিষ্টি, টক, ঝাঁঝালো, চটপটে, নোনতা ও তেঁতো। খাবার সময় এই ছয়টি স্বাদই উপস্থিত থাকতে হবে। বেশি নুন বা চিনি শরীরের পক্ষে ভাল নয়।
খাবারে ভেষজ উপাদান যোগ করতে হবে
হলুদ, আদা, অশ্বগন্ধা, গুগগুল, ত্রিফলা ও দারচিনি এগুলো খাবারে থাকলে ওজন তাড়াতাড়ি কমে যায়।