ভারতের মতো দেশে যৌনতাকে একটা ট্যাবু ধরে চলা হয়৷ তাই টেলিভিশন এবং ওটিটিতে কিছু যৌনতামূলক কনটেন্ট সামনে এলে বাবা-মায়েরা নানান গল্প করে বিষয়টা ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন৷ তাঁরাও পড়ে যান দোটানায়৷ বাবা মায়েদের এটা চিরকালীন প্রশ্ন, কেন আমরা যৌনমিলন সম্পর্কে জানাব আপনাদের?
আপনি যদি আপনার সন্তানকে পর্যাপ্ত যৌন শিক্ষা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত না হন, আপনার সন্তান প্রথমে অন্যদের কাছ থেকে যৌনতা সম্পর্কে শুনতে যায়। এখানেই সমস্যা৷ তাঁরা যৌনতা সম্পর্কে বিভিন্ন ধরণের তথ্য শুনে আসবে, যা বিপথগামী। না জেনেই অনেকে যৌনমিলনে লিপ্ত হতে পারেন৷ অবাঞ্ছিত গর্ভধারণ এবং STD (যৌন সংক্রামিত রোগ) সংকোচনের সম্ভাবনাও বেশি থাকে যদি কেউ যৌনতার সম্ভাব্য জটিলতা সম্পর্কে সত্যিই সচেতন না থাকে।
advertisement
আরও পড়ুন : রাতে নিয়মিত ঘুম না হলে মেয়েদের শরীরে বাসা বাঁধে ভয়ঙ্কর রোগ! মুক্তি পান এই সহজ উপায়ে
যে সকল শিশুরা তাঁদের কিশোর বয়সে যৌন সম্পর্কে বেশি শিক্ষিত তাঁদের যৌনতার সময় নিরাপদ থাকার সম্ভাবনা বেশি। যৌন সম্পর্কে শেখার সর্বোত্তম সময় হল যখন আপনি বয়ঃসন্ধিতে প্রবেশ করছেন বা তার ঠিক আগে। ৭ থেকে ১২ বছর বয়সের গোষ্ঠীর শিশুরা তাঁদের নিজের শরীর, যৌনাঙ্গের অংশ বা যৌন অনুভূতি ইত্যাদির সঙ্গে পরিচিত হয়। এটি তখনই হয় যখন তাঁরা বিভিন্ন ধরনের আবেগ অনুভব করে এবং কেউ একবারে সেগুলি সম্পর্কে সত্যিই বিভ্রান্ত হয়ে যায়। কিশোরী গর্ভধারণ বা যৌনবাহিত রোগের সংকোচনের মতো অবাঞ্ছিত দুর্ঘটনা এড়াতে প্রাথমিক যৌন এবং অ-যৌন আচরণ সম্পর্কে জানা সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি কোনও পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবার আগে আপনার পিতামাতার যৌন বিশ্বাস সম্পর্কে সচেতনতাও প্রয়োজন। নিরাপদ এবং সঠিক উপায়ে আপনার কুমারীত্ব হারানোও প্রয়োজনীয় তথ্য যা আপনার মনে গেঁথে থাকা উচিত যাতে প্রথমবার যৌনমিলনে লিপ্ত হওয়ার সময় আপনি কখনই অস্বস্তি বা বিশ্রী বোধ করবেন না।
আরও পড়ুন : ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাঙ্কে বিপুল নিয়োগ! আবেদন করুন এখনই
বাবা-মায়ের উচিত সঠিক সময়ে তাঁদের সন্তানকে সেক্স এডুকেশন সম্পর্কে অবগত করা৷ সমস্ত ট্যাবু ভেঙে ছোট থেকেই নিজেদের মতো করে যৌনশিক্ষায় শিক্ষিত হওয়া প্রয়োজন৷
(এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)