বিশিষ্ট হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ, ডা. অমিত শর্মা জানাচ্ছেন নানা কারণে উদ্বেগ বাড়তে পারে। এমনকী আবহাওয়া পরিবর্তন, চরম গরম বা শীতেও উদ্বেগ বৃদ্ধি পেতে পারে। ফাস্টফুডের ব্যবহার, কাজের চাপ, খাওয়া-দাওয়ার অনিয়ম দুশ্চিন্তা বা ‘নার্ভাসনেস’-এর সমস্যা বাড়ায়। চিকিৎসকরা বলছেন, দিনে ৮০ থেকে ১০০জন রোগী এই অ্যাংজাইটি বা মানসিক উদ্বেগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। তার হাত থেকে নিস্তার পায় না ছোটরাও।
advertisement
সময় মতো চিকিৎসা না করলে বিপদ—
চিকিৎসকদের দাবি, মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন না করা হলে তা মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। প্রভাব পড়তে পারে শরীরেও।
আরও পড়ুন: বলুন তো বাসের গায়ে চালকের দরজায় কেন পাইলট লেখা থাকে?
ডা. অমিত শর্মা বলেন, ‘বর্তমানে মানুষ ভীষণ ব্যস্ত জীবন যাপন করছে। এই কারণেই তাঁরা নিজের স্বাস্থ্যের বিশেষ যত্ন নিতে পারছেন না। উপরন্তু কাজের চাপ বাড়ছে। তারই ফলে উদ্বেগের মতো সমস্যা বেড়ে যাচ্ছে।’
শিশুদের ক্ষেত্রে গত এক-দেড় দশকে পৃথিবীটা একেবারে আমূল বদলে গিয়েছে। মোবাইল ফোনের ব্যাপক ব্যবহার তাদের মাঠে গিয়ে খেলার সময় কেড়ে নিয়েছে। এখন শিশুরাও সারাদিন মোবাইলে মগ্ন থাকে। বাবা-মা ভাবেন শান্ত হয়ে এক জায়গায় বসে রয়েছে। কিন্তু আগে বাচ্চারা যেভাবে হুড়োহুড়ি, দৌড়দৌড়ি করে বেড়াত তাতে তাদের শরীর ও মন সুস্থ থাকত। এখনকার বাচ্চাদের গ্রাস করছে একাকিত্ব, স্থবিরতা।
আরও পড়ুন: বিধাননগরের বেশিরভাগ কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত? পোস্টার ঘিরে তোলপাড় বাংলা
আর এই পরিস্থিতিতেই হানা দিচ্ছে মানসিক উদ্বেগ। ডা. অমিত শর্মা বলেন, এই মানসিক উদ্বেগের চিকিৎসা যথা সময়ে করা না গেলে, হৃদরোগের সম্ভাবনা বাড়ে। বেড়ে যেতে পারে অন্য নানা রোগের আশঙ্কাও। উচ্চ রক্তচাপ থেকে শুরু করে কিডনির অসুখও এই কারণে বেড়ে যায় বলে দেখা গিয়েছে।
উদ্বেগ এড়াতে পদক্ষেপ—
মানসিক উদ্বেগের মতো সমস্যা এড়াতে, শুধু যে মানসিক প্রশান্তি বজায় রাখা দরকার তাই নয়। জীবনযাত্রার মানেও পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। অতিরিক্ত ভাজাভুজি, ফাস্টফুড এড়িয়ে চলা দরকার। পরিবর্তে নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। সেই সঙ্গে প্রয়োজন ৬ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুম। নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। দিনের একটা নির্দিষ্ট সময়ে খানিকটা হেঁটে আসা প্রয়োজন, বিশেষত সূর্যালোকে।