বয়স ত্রিশ পেরোলেই অনেকে অকাল বার্ধক্যের শিকার হন। এটা হয় মূলত অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন এবং ভুল খাদ্যাভ্যাসের ফলে। তবে চিন্তা নেই। শুরুতেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিলে অকাল বার্ধক্য রুখে দেওয়া সম্ভব। এবার দেখে নেওয়া যাক কী কী টোটকা মেনে চললে ত্বকের অকাল বার্ধক্য রোধ করা সম্ভব।
প্রাকৃতিক সানস্ক্রিন: ত্বকে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে সূর্যরশ্মি। এ জন্য বাইরে বেরোলে সানস্ক্রিন ব্যবহারের পরামর্শ দেন রূপ বিশেষজ্ঞরা। তবে নিয়মিত চকোলেট, গাজর, গ্রিন টি পান ত্বকের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে। এগুলোতে লাইকোপেন নামের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এটা প্রাকৃতিক এসপিএফের কাজ করে।
advertisement
আরও পড়ুন: বিঘার পর বিঘা জমি, তোলা হচ্ছে পাঁচিল, অর্পিতার নতুন সম্পত্তির কথা জানলে মাথা ঘুরবে!
ব্যায়াম: স্বাস্থ্যকর জীবন পেতে চাইলে ব্যায়ামের মতো উপকারী জিনিস আর কিছু নেই। এটা শুধু শরীর ভালো রাখে তাই নয়, ত্বকেও দুর্দান্ত প্রভাব ফেলে। ব্যায়ামের সময় হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি পায়। সারা শরীরে তো বটেই ত্বকের কোষেও অক্সিজেন এবং পুষ্টির সঞ্চার ঘটে। ফলে ত্বকে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা ফিরে আসে।
মাসাজ: মাসাজ করলেই রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। কোষে পুষ্টি সঞ্চার হয়। তাই প্রতিদিন পছন্দের ক্রিম বা ফেস ওয়াশ দিয়ে মুখ মাসাজ করা গুরুত্বপূর্ণ। ত্বকের অকাল বার্ধক্য রোধে এটা দারুণ কাজে দেয়।
আরও পড়ুন: টাকার পাহাড়! কোটি কোটির বান্ডিল দেখে থ বাংলা, নেটপাড়ায় টালিগঞ্জ ভার্সেস বেলঘরিয়া 'যুদ্ধ'
হাইড্রেট: বলা হয় জলই জীবন। ত্বকের জন্যও এই কথাটা সমান ভাবে খাটে। প্রতিদিন ২ থেকে ৩ লিটার জল খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এতে শরীরের টক্সিক পদার্থ বেরিয়ে যায়। ফলে শরীর হাইড্রেটেড থাকে। ফলে ত্বকের কোষেও আর্দ্রতা পৌঁছয়।
এক্সফোলিয়েট: তরুণ তরতাজা ত্বকের গোপন রহস্য হল এক্সফোলিয়েশন। এতে ত্বকের মৃত কোষ উঠে যায়। ত্বককে তাজা এবং প্রাণবন্ত দেখায়। নিয়মিত এক্সফোলিয়েশন করলে ত্বকে প্রাকৃতিক আভাও ফিরে আসে।
ফেসিয়াল যোগা: অনেক সময় ফ্যাট জমে মুখের আকার পালটে যায়। ফেসিয়াল যোগা মুখের প্রকৃত অবস্থা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। তাছাড়া মুখে অনেক পেশিও রয়েছে। সেগুলোরো পর্যাপ্ত ব্যায়াম হয়। এতে ত্বকের কোষে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে।
মেকআপ তুলতেই হবে: মেকআপ প্রতিদিন তুলতেই হবে। ভালো করে। অপরিষ্কার থাকলে ত্বকের ছিদ্রগুলো বন্ধ হয়ে যায়। তখন ব্রণ, ফুসকুড়ির মতো একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।