স্বাদের ভাগ অনুসারে আমলকি কষা স্বাদের অন্তর্গত। খানিকটা টকও। এ দেশে আমলকি নানা ভাবে খাওয়া হয়। ধর্মীয় দিক থেকেও আমলকি ও আমলকি গাছের বেশ গুরুত্ব রয়েছে। ত্রিফলার অন্যতম হল আমলকি। পাশাপাশি পশ্চিমা দেশগুলিতে মনে করা হয় আমলকি একটি সুপারফুড।
ওজন কমানোর শুরু
যাঁরা ওজন কমাতে চাইছেন তাঁদের জন্য আমলকি খুবই উপকারী হতে পারে। আসলে অন্ত্রের স্বাস্থ্য ফেরাতে আমলকির একটা ভূমিকা রয়েছে। সে কারণেই পরোক্ষে ওজন কমানোর ক্ষেত্রেও তার গুরুত্ব থাকে। পাশপাশি ফাইবারে সমৃদ্ধ আমলকি খেলে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা থাকে। পুষ্টিগুণও এর কম নয়। বিপাক ক্রিয়াও উন্নত হয়। ২০১৭ সালে করা ইঁদুরের উপর করা এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে আমলকি পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করছে।
advertisement
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
গবেষণায় দেখা গিয়েছে আমলকিতে হাইপোগ্লাইসেমিক, অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টিহাইপারগ্লাইসেমিক, অ্যান্টিহাইপারলিপিডেমিক এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি উচ্চ মাত্রায় ভিটামিন সি, ট্যানিন, পলিফেনল, ফাইবার, খনিজ সমৃদ্ধ। তা ছাড়া এতে রয়েছে প্রোটিন এবং অ্যামিনো অ্যাসিড।
আমলকিতে উপস্থিত জটিল ট্যানিন, এলাগিটানিন, কোরিলাগিন, জেরানিন, চেবুল্যাজিক অ্যাসিড এবং ইলেওকার্পুসিনের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও।
এই সমস্ত সক্রিয় উপাদানের সম্মিলিত ক্রিয়াকলাপের জন্যই আমলকি অনাক্রম্যতা বা রোগপ্রতিরোধের জন্য উপযুক্ত উৎস হয়ে ওঠে।
আরও পড়ুন: শীতে বিয়ে করার রয়েছে ৭ সুপারহিট সুবিধে! যা আপনারও জানা নেই! অবশ্যই জানুন
কী ভাবে খাওয়া যায়?
ভারতে বছরের পর বছর মানুষ আমলকি খেয়ে আসছে, তা সে কাঁচা আমলকি হোক বা আমলকির আচার। শুকনো আমলকির গুঁড়োও খাওয়া হয় এ দেশে, আবার মুখশুদ্ধি হিসেবে টক মিষ্টি মিশিয়েও খাওয়া হয়।
তবে আরও কিছু সবুজ শাকসবজি এবং মরশুমি ফলের সঙ্গে মিশিয়ে রস করেও খাওয়া যায়। সকালে খেলেই বেশি ভাল।
সব থেকে ভাল হয় আমলকি টুকরো টুকরো করে কেটে খানিকটা লবণ দিয়ে খাওয়া। এতে আমলকির সার্বিক গুণাগুণ বজায় থাকে। আজকাল বাজারে আমলা ক্যান্ডিও কিনতে পাওয়া যায়। চ্যবনপ্রাশের প্রধান উপাদান হিসাবেও আমলকি রাখা হয়ে থাকে। বা জ্যুস করেও খাওয়া যায়।
আমলকির জুস
দুটি আমলকি ছোট ছোট করে কেটে নিতে হবে।
এবার সামান্য সামান্য করে জল মিশিয়ে গ্রাইন্ড করে নিতে হবে। দেখতে হবে যাতে সবটা একত্রে মিশে যায়। না হলে আমলকির জুস ছেঁকেও নেওয়া যেতে পারে। এর সঙ্গে খানিকটা গোলমরিচ গুঁড়ো, সামান্য বিটনুন মিশিয়ে নেওয়া যেতে পারে।
কেউ যদি মিষ্টি রস খেতে পছন্দ করেন তবে মধুও মেশানো যেতে পারে। তবে এটি বানানোর সঙ্গে সঙ্গে পান করাই ভাল।
আরও পড়ুন: রাতে এটা সঠিকভাবে ব্যবহার করেন তো? না হলেই সর্বনাশ!
ভেষজেরও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকতে পারে। অতিরিক্ত আমলকিও খাওয়া ঠিক নয়। যদি কেউ আমলকি খেয়ে হজম করতে না পারেন, তা হলে খাওয়া উচিত নয়। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। তবে আমলকির ক্ষেত্রে খুব কম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াই হয়ে থাকে।
(Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)