আরও পড়ুনঃ এক সপ্তাহ এই পদ্ধতিতে ভাত রাঁধুন! রকেটের গতিতে কমবে ওজন
আলঝেইমার এক ধরণের স্নায়বিক রোগ! যা মানুষের মস্তিষ্ককে প্রভাবিত করে। এটি একটি প্রগতিশীল স্নায়বিক ব্যাধি যার ফলে মস্তিষ্কের কোষগুলি মারা যায়। এতে স্মৃতিশক্তি কমে যায়। এর ফলে মানুষ কিছু মনে করতে পারে না। সাধারণত ৫০-৫৫ বছর বয়স পেরোলে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
advertisement
এই রোগের ফলে স্মৃতিশক্তি লোপের পাশাপাশি কোনও কারণ ছাড়াই রেগে যাওয়া, বন্ধু এবং পরিবারের সদস্যদের চিনতে সমস্যা, পড়তে ও লিখতে অসুবিধা, নতুন কাজ শিখতে ও বুঝতে অক্ষম-সহ ওজন কমে যাওয়া, ভারসাম্য, অন্ত্র এবং মূত্রাশয় নিয়ন্ত্রণের সমস্যা এমনকী খিঁচুনি অনুভবও হতে পারে। ‘অ্যালঝাইমার’ রোগের কারণ হিসাবে, অনিদ্রা, উচ্চ বায়ু দূষণ, অত্যধিক অ্যালকোহল সেবন, শারীরিক ব্যায়ামের অভাব, স্থূলতা, ধূমপান, উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস ইত্যাদি ‘অ্যালঝাইমার’ রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
এখনও পর্যন্ত এই রোগের সম্পূর্ণ নিরাময় সম্ভব হয়নি তবে স্মৃতি লোপ পাওয়া বা ডিমনেশিয়ার উপসর্গগুলি ওষুধ দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তবে জিহ্বার ব্যায়ামের মাধ্যমেই ‘অ্যালঝাইমার’ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে ফল পেতে পারেন। চিকিৎসা গবেষণায় দেখা গেছে যে জিভের সঙ্গে বিগ ব্রেইনের সংযোগ রয়েছে। যখন আমাদের শরীর বৃদ্ধ এবং দুর্বল হয়ে যায়, তখন প্রথম লক্ষণটি দেখা দেয় যে আমাদের জিহ্বা শক্ত হয়ে যায় এবং প্রায়শই আমরা নিজেদেরকে কামড়াতে থাকি। এজন্য প্রতিদিন সকালে মুখ ধোয়ার সময় আয়নার সামনে জিহ্বা প্রসারিত করে ১০ বার ডানে এবং তারপর বাম দিকে সরান। এভাবেই প্রতিনিয়ত জিহ্বার ব্যায়ামে মিলবে ভাল ফল। জিহ্বার ঘন ঘন ব্যায়াম মস্তিষ্ককে উদ্দীপিত করবে, এর ফলে মস্তিষ্ক সঙ্কুচিত হওয়া থেকে কমাতে সাহায্য করে এবং এইভাবে একটি স্বাস্থ্যকর শরীর অর্জন করে।
জুলফিকার মোল্যা