বক্সায় পর্যটনের জোয়ার এলেও জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান স্বাভাবিক ছন্দে ফেরেনি।জলদাপাড়া, চিলাপাতা এলাকায় সাফারি শুরু হতে দেরি রয়েছে। বক্সায় জঙ্গল সাফারি চালু থাকায় পর্যটকরা এখানেই আসছেন। প্রতিদিন সকাল থেকেই সাফারির জন্য বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গল ঘেরা জয়ন্তী, রাজাভাতখাওয়ায় ভিড় জমাচ্ছেন পর্যটকেরা। জঙ্গল সাফারির পাশাপাশি, বক্সা পাহাড়েও শুরু হয়েছে পর্যটকদের আনাগোনা, ফলে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন এই এলাকার পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
advertisement
আরও পড়ুন: বন্যা ভাসিয়েছে বই, কিন্তু ভাসাতে পারেনি পড়ার ইচ্ছে! বানভাসি উত্তরবঙ্গের ত্রাণ শিবিরে মন ভাল করা ছবি
অশোক মুহুরী নামের এক পর্যটক জানান, তিনি দুর্যোগের আগের দিন এসেছেন আলিপুরদুয়ারের বক্সা এলাকায়। টানা বৃষ্টি দেখে ভয় পেয়েছিলেন। তবে বক্সা জঙ্গলের কোনও পর্যটন কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। বন্যা পরিস্থিতি এই এলাকায় দেখা যায়নি। তিনি আরও জানান, “অনেকেই ভাবছেন দুর্যোগের মধ্যে আলিপুরদুয়ার বেড়াতে না যাওয়া উচিত। তবে তাঁদের বলব বক্সা জঙ্গলের পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে কোনও অসুবিধা নেই। রোদ ঝলমলে আবহাওয়া রয়েছে যা জঙ্গল, পাহাড় দেখার জন্য উপযোগী।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
অপরদিকে, জলদাপাড়ায় পর্যটনের সঙ্গে জড়িত মানুষদের কপালে চিন্তার ভাঁজ। পুজোর ছুটিতে পর্যটনে ঠাঁসা জলদাপাড়ার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে এক এক করে বাতিল হয়ে যাচ্ছে পর্যটকদের বুকিং। এই অবস্থায় বিপাকে পড়েছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। দুর্যোগের রেশ কাটিয়ে কবে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরবে জলদাপাড়া? সেই উত্তর এখনও জানা নেই।