এলাকার কৃষকদেরও নতুন আয়ের পথ দেখালেন ফুলচাষি ভাইলেট জোজো। শিক্ষকতার পাশাপাশি, চাষবাসে আগাগোড়াই নেশা ছিল তাঁর।বাড়ির সামনের জমিতে করতেন ধান চাষও।তবে হাতির তাণ্ডবে সেই ধানও ঘরে তোলা দায় হয়ে দাঁড়িয়েছিল বলে জানান তিনি।পাশাপাশি, ধানের মতো ফসল চাষে পরিশ্রমও অনেক। সেজন্যই গত অগাস্ট মাসে সেই চাষের জমিতেই গাঁদা ফুল চাষ শুরু করেছিলেন ভাইলেট।তবে তার এক দুমাস বাদে উৎসবের মরশুম শুরু হতেই বৃদ্ধি পায় ভাইলেটের চাষ করা সেই ফুলের চাহিদা। একে একে প্রচুর ক্রেতা ফুল কেনার জন্য ভিড় জমান। দুর্গাপুজো,কালীপুজো, ছটপুজোর মতো উৎসবের দিনে নিজের চাষ করা ফুল বিক্রি করে ব্যাপক লাভবান হয়েছেন বলেও দাবি ভাইলেট জোজোর। তিনি জানান, ” উৎসবের মরশুমের পাশাপাশি, এখন বিয়ের মরশুমও চলছে।ফলে আমার নার্সারির ফুলের চাহিদাও বেড়ে চলেছে। আর এই কারণেই এখন শিক্ষকতা ছেড়ে পুরোপুরি মনোনিবেশ করেছি এই ফুল চাষে।আর একে কেন্দ্র করেই নার্সারিও তৈরি করেছি। “
advertisement
আরও পড়ুন : পথের দু’পাশে কয়েকশো উনুনে চাপানো হাঁড়ি-কড়াই থেকে উঠছে ধোঁয়া! হেমন্তের রান্নাপুজোয় মাতোয়ারা ফুলতলা
যেখানে প্রায় ৫০টি প্রজাতির গাছ রয়েছে।কালচিনি ব্লকের এরকম চাষ এর পূর্বে হয়নি বলেও দাবি কৃষকদের। এ বিষয়ে ভাইলেট জোজো আরও জানান, ধান চাষ ছেড়ে দেওয়ার কোনও আফসোস নেই। উল্টো আগের তুলনায় পরিশ্রম কমেছে এবং আয় অনেকটাই বেড়েছে।এছাড়া ক্রেতাদের সাড়াও মিলছে।