লাল সিং চাড্ডায় নয়া অবতারে হাজির হয়েছেন আমির খান। মাথায় পাগড়ি। এক গাল বড় বড় দাড়ি। তবে দর্শকদের যেটা সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ছে সেটা হল মিস্টার পারফেকশনিস্টের বয়স যেন এক ধাক্কায় কমে গিয়েছে অনেকটা। চলতি বছরের ১৪ মার্চ ৫৭ বছরে পা দিয়েছেন আমির। কিন্তু লাল সিং চাড্ডায় তাঁকে দেখে মনে হচ্ছে যেন ৩৫-এর তরুণ। কীভাবে সম্ভব হল এটা?
advertisement
গোপন ব্যাপারটা কী: ফিটনেস ধরে রাখার প্রথম শর্তই হল জীবনে শৃঙ্খলা মেনে চলা। প্রতিদিন ওয়ার্কআউট। ডায়েট মেনে খাওয়াদাওয়া। এর বিচ্যুতি হলে চলবে না। এটা অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলেন আমির। তাঁর জীবন সব অর্থেই শৃঙ্খলায় মোড়া। আমিরের তরুণ লুকের রহস্যও এটাই।
জিন: তবে এই নিয়ে মজা করতে ছাড়েন না আমির। তিনি এর সমস্ত কৃতিত্ব দেন জিন-কে। একটি সাক্ষাৎকারে এই নিয়ে প্রশ্নের জবাবে আমির বলেছিলেন, ‘আমি আর কী বলব, আমার জিনেই এটা আছে’।
স্বাস্থ্যকর খাবার: জিন-কে কৃতিত্ব দিলেও পরমুহূর্তেই সিরিয়াস আমির। অভিনেতা জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যকর খাবার-দাবার ছাড়া অন্য কিছু তিনি মুখে তোলেন না। আমিরের নিজের কথায়, ‘শরীরের জন্য কোন খাবার খাওয়া উচিৎ, সে সম্পর্কে আমার ধারণা খুব পরিষ্কার’।
লেবুর জল: সারা দিনে প্রচুর লেবুর জল খান অভিনেতা। কাজের মধ্যে কিংবা শ্যুটিংয়ের ফাঁকে তেষ্টা পেলে গলায় ঢালেন লেবুর জল। এটা শুধু শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে তাই নয়, ত্বক ভাল রাখে। দেহে, মনে, চেহারায় আবার তারুণ্য লাভ করা যায়।
প্রতিদিন ব্যায়াম: ব্যায়াম করলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। পেশির উন্নতি হয়। শরীরের নমনীয়তা বজায় থাকে। এই সবকটাই তারুণ্যের লক্ষণ। তাই প্রতিদিন ব্যায়াম করেন আমির। সকালে দৌড়নো, তারপর জিমে ওয়েট ট্রেনিং তাঁর ফিটনেস রুটিনের অঙ্গ।
আরও পড়ুন: ধারে মদ কিনতে দোকানে যায় ব্যক্তি! না দেওয়ায়, ঘটল ভয়াবহ ঘটনা!
প্রচুর ফল: ডায়েট মেনে চলা তো আছেই। কোন খাবার পাতে থাকবে সেই নিয়েও খুঁতখুঁতুনি তাঁর কম নেই। তবে ফলের ক্ষেত্রে উদারহস্ত আমির। সমস্ত রকম ফলই তাঁর পাতে থাকে। আমিরের মতে, ত্বকে প্রাকৃতিক আভা যোগ করতে ফলের কোনও বিকল্প হতে পারে না।
পর্যাপ্ত ঘুম: শুধু ওয়ার্কআউট বা ডায়েট মেনে চললেই হয় না। শরীরকে দিতে হয় পর্যাপ্ত ঘুমও। না হলে ক্লান্তি গ্রাস করবে। চোখের তলায় কালি পড়বে, ত্বকে র্যাশ। এটা খুব ভাল জানেন আমির। তাই যত কাজই থাক, রাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমোতেই হবে আমিরকে।