১. ব্রেকফাস্ট অপরিহার্য:
প্রাতঃরাশ হল আমাদের শরীরের জ্বালানি। গবেষণায় দেখা গিছে যে একটি ভালমানের প্রাতঃরাশ আমাদের শরীরের পাশাপাশি হার্টের স্বাস্থ্যের জন্যও অত্যন্ত উপকারী৷
ডিম, দুগ্ধজাত খাবার, শস্যাদি, ফল বা বাদাম দ্রুত এবং সহজ স্বাস্থ্যকর ব্রেকফাস্ট হিসেবে দারুণ।
২. পুষ্টিকর-ঘন খাবার:
প্রচুর পুষ্টি আছে এমন খাবার নির্বাচন করা উচিত। ফল, শাকসবজি, গোটা শস্য, কম চর্বিযুক্ত বা চর্বিহীন দুগ্ধজাত দ্রব্য আমাদের শরীরে জ্বালানি যোগান দেওয়ার ভাল উপায়। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন ডিম, পনির, মটরশুঁটি, মুসুর ডাল এবং বাদাম শক্তি এবং পুষ্টির চাহিদাকে পরিপূর্ণ করে।
advertisement
আরও পড়ুন: শরীর-মনের চাপ এক লহমায় দূর করে অ্যারোমা থেরাপি, প্রয়োজনীয়তা জানেন?
৩. স্মার্ট খাবার খেতে হলে সুষম ভারতীয় রেসিপিই সেরা:
কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান সমৃদ্ধ মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টগুলি শরীরকে ভেতর থেকে শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রচুর পরিমাণে ফল, শাকসবজি এবং কম চর্বিযুক্ত খাদ্য শারীরিক ও মানসিক শক্তি স্ফূর্তি গড়ে তোলার জন্য আদর্শ। নিয়মিত মাংস খাওয়ার তুলনায় চর্বিহীন প্রোটিন সমন্বিত একটি স্বাস্থ্যকর, প্রোটিন-সমৃদ্ধ ভারতীয় খাদ্যতালিকা বেছে নেওয়া যেতে পারে। মাছ, মটরশুঁটি, ছোলা, ডিম, দুগ্ধজাত খাবার শক্তির মাত্রা ঠিক রাখতে অপরিহার্য। এগুলিতে উচ্চ মানের ১১টি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সমৃদ্ধ প্রোটিন রয়েছে, এছাড়াও ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি-এর মতো হাড় মজবুতকারী পুষ্টিকর উপাদানও থাকে এতে।
আরও পড়ুন: কমায় ক্যানসারের ঝুঁকি, বাড়িতে কী ভাবে বানাবেন 'এই' দেশি চা? শিখে নিন...
৪. হাইড্রেশন বাড়াতে নিয়মিত জল পান:
মানুষের শরীরের ৬০ শতাংশই জল দিয়ে তৈরি। তাই শরীরে জলের মাত্রা কম হতে দেওয়া যাবে না। হাইড্রেশন বাড়াতে সবচেয়ে সহজ উপায় নিয়মিত জল পান করা।
হাইড্রেশন স্ট্যাটাস মাপার একটি সহজ উপায় হল প্রস্রাবের রঙ দেখা— প্রস্রাব যত গাঢ় হবে, একজন ব্যক্তির শরীর জলশূন্য হওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি।
৫. ক্যাফিনের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখা:
কফি আমাদের চাঙ্গা করে তোলে সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু সকালে এনার্জির চাহিদা মেটানোর জন্য ক্যাফিনের ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। প্রচুর মিষ্টি যুক্ত কফি আসলে ক্যালোরি ছাড়া আমাদের আর কিছু দিতে পারে না। এর জন্য বিকল্প কোনও পথ অবলম্বন করতে হবে।
৬. বারে বারে খাওয়া:
দু'ঘণ্টা সময়ের ব্যবধানে অল্প অল্প করে খাওয়া অভ্যাস করতে হবে। একেবারে অনেকটা না খেয়ে ক্যালোরি কমানোর জন্য বারে বারে খাওয়ার অভ্যেস করতে হবে।