মেডিকা সুপারস্পেশালিটি হাসপাতাল পূর্ব ভারতের বৃহত্তম বেসরকারি হাসপাতাল। তাদের নতুন প্রতিষ্ঠিত অঙ্কোলজি বিভাগের মাধ্যমে কলকাতায় বিশ্বমানের ক্যানসারের চিকিৎসা প্রদান করে। প্রথম ডে-কেয়ার রোবোটিক হিস্টেরেক্টমির একটি গুরুত্বপূর্ণ কৃতিত্ব অর্জন করেছে এই হাসপাতাল। নবতম সংযোজন ফোর্থ জেনারেশন দ্য ভিঞ্চি সার্জিক্যাল রোবট পরিষেবা (4th generation Da Vinci surgical Robot)।
advertisement
মেডিকা সুপারস্পেশ্যালিটি হাসপাতাল, তাদের নতুন প্রতিষ্ঠিত অঙ্কোলজি বিভাগের মাধ্যমে, বিশ্বমানের ক্যানসারের (Cancer) চিকিৎসা প্রদান করে, প্রথম ডে-কেয়ার Robotic hysterectomy একটি উল্লেখযোগ্য কৃতিত্ব অর্জন করেছে। মেদিনীপুরের ৫০ বছর বয়সী এক মহিলার অপারেশন করা হয়। এই অস্ত্রোপচার ডা. অরুণাভ রায়, সিনিয়র কনসালট্যান্ট গাইনোকোলজিক অঙ্কোলজি অ্যান্ড রোবোটিক সার্জারি, গাইনি অঙ্কোলজি অ্যান্ড উইমেন ক্যানসার ইনিশিয়েটিভ, মেডিকা ক্যানসার ইনস্টিটিউট, মেডিকা সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালের ইউনিট প্রধান দ্বারা পরিচালিত হয়েছে।
ডা. রায়ের মতে, মহিলার শারীরিক অবস্থা ছিল প্রাক-ক্যানসার স্তরে। যা চিকিৎসা না করা হলে জরায়ু ক্যানসারে পরিণত হতে পারে বলে চিকিৎসকদের আশঙ্কা ছিল। তাই তাঁকে হিস্টেরেক্টমির পরামর্শ দেওয়া হয়। এই অপারেশন হয় রোবটের দ্বারা। তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে রোবোটিক হিস্টেরেক্টমি (Robotic Hysterectomy) বেছে নেওয়া হয়। যা সফল হয়েছে।
আরও পড়ুন-নিছক মজা করতে গিয়েই বেঘোরে প্রাণ দিলেন ভাই ! তার লাইভ ভিডিও দেখে শিউরে উঠলেন বোন
মেডিকা সুপারস্পেশ্যালিটি হাসপাতালের চিকিৎসক অরুণাভ রায় (Dr. Arunava Roy) বলেছেন, ‘ডব্লিউএইচও-এর পরিসংখ্যান অনুসারে প্রতি ৬ জনের মধ্যে ১ জনের ক্যানসার আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। ৪৫-৬০ বছরের মধ্যে মহিলারা গড়ে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে দিয়ে যায়। ডে-কেয়ার হিস্টেরেক্টমিতে রোগীর কোনও রক্ত সঞ্চালন, অ্যান্টিবায়োটিক বা ব্যথার ওষুধ খাওয়ার দরকার হয় না। ন্যূনতম ওষুধ আর কোনও ব্যথা ছাড়াই ছেড়ে দেওয়া হয়।’
ডা. অভয় কুমার (Dr. Abhay Kumar) বলেন, ‘ভারতের ক্যানসারের বোঝা কয়েক বছর ধরে বেড়েছে। ২০১০ থেকে ২১৯০ সাল থেকে ক্যানসারের ক্ষেত্র ২১ শতাংশ বেড়েছে ও মৃত্যু ২৬ শতাংশ বেড়েছে। ২০২০ সালে ১৪ লক্ষ লোক ক্যানসারে আক্রান্ত হয়। ডে-কেয়ার ট্রিটমেন্ট মেডিকা ক্যানসার ইনস্টিটিউটের একটি পদক্ষেপ যা আগামী দিনে ফলপ্রসূ হবে।’