পুলিশ সূত্রে খবর, রাত ২:২৫ মিনিট নাগাদ শাহনাওয়াজকে রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। নিহতদের পরিবারে সঙ্গে কথা বলে পুলিস জানতে পেরেছে, ফোন করে শাহনাওয়াজকে ডেকে পাঠান তাঁর বন্ধুরা। রাত হয়ে গেলেও বাড়ি ফিরে আসেননি। সেই ফোনের সূত্র ধরেই শাহনাওয়াজের এক বন্ধুর হদিশ পান তদন্তকারীরা। তাঁকে আটক করে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই অপর তিন সঙ্গীর কথা জানতে পারে পুলিশ। তাদের মধ্যে আরও একজনকে পাকড়াও করা হয়েছে। তবে দুজন এখনও পলাতক। তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে বেনিয়াপুকুর থানার পুলিশ ও কলকাতা পুলিশের গুন্ডা দমন শাখার পুলিশ।
advertisement
আরও পড়ুন: কেন দীর্ঘ গরমের ছুটি দিয়েছে সরকার? বিস্ফোরক দাবি দিলীপ ঘোষের! কী বললেন?
তবে খুনের ঘটনাস্থল নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠছে। পার্ক সার্কাসের মতো এলাকা, যেখানে রাতভর পুলিশ মোতায়েন থাকে। উল্টো দিকে ডিসিপি’র অফিস- এহেন জায়গায় একজনকে কুপিয়ে কী ভাবে খুন করা হল? সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এলাকার ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বড় কোনও নির্দেশ দেবেন দলনেত্রী? শাসক নেতাদের সব নজর আজ নতুন তৃণমূল ভবনে!
তবে অন্যত্র কুপিয়ে এখানে দেহ ফেলার বিষয়টিও উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ। একইসঙ্গে খুনের কারণও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে পুলিশ সূত্রে খবর, পুরোনো কোনও বিবাদ ঘিরেই এই খুনের ঘটনা। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কিছু তথ্য হাতে পেয়েছে পুলিশ। পেশায় অ্যাপ ক্যাব চালক শাহনাওয়াজের সঙ্গে তাঁর ওই চার বন্ধুর কয়েক মাস ধরেই বিবাদ চলছিল। গত রাতে প্রথমে বচসা বাধে তাদের মধ্যে। তারপর হাতাহাতি হয়। শেষে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। ধৃতদের শিয়ালদহ আদালতে পেশ করে হেফাজতে চেয়ে আবেদন করবে পুলিশ।
----অমিত সরকার