মঙ্গলবার সাত সকালে পরিবারের সদস্যরাই উদ্ধার করেছে মুকেশ সাউ নামে ওই ব্যক্তির দেহ। প্রথমে দেহ দেখতে পান মুকেশের ভাই। খবর পাঠানো হয় স্থানীয় থানায়। ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পুলিশ। বাঁশদ্রোনী থানা এলাকার ১৪০, সোনালী পার্কে আশেপাশে তখন জড় হতে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষ। সকাল সকাল এই ভয়ঙ্কর অপরাধের খবর পেয়ে উঁকিঝুঁকি দিতে শুরু করেছেন প্রতিবেশীরা। পুলিশ জানিয়েছেন, মৃত মুকেশের ভাই সঞ্জয় সঞ্জয় সাউ বাড়ির দরজার সামনে দাদার উপুড় হয়ে থাকা মৃতদেহ দেখতে পান। মৃতদেহের পিঠে গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কাটার চিহ্ন ছিল। দেহের পাশে চাপ চাপ রক্ত ছিল। কেন? কী জন্য খুন? সেটা অনুমান করতে পারছেন না মুকেশের পরিবারের কেউই।
advertisement
আরও পড়ুন: আর অপেক্ষা নয়, কবে থেকে জাঁকিয়ে শীত পড়বে বঙ্গে? জানাল আবহাওয়া দফতর
ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে দেখে মৃতদেহটি, বসার ভঙ্গিতে সামনের দিকে উপুড় অবস্থায় রয়েছে। অন্ততপক্ষে তিন থেকে চার ঘণ্টা আগে মৃত বলে প্রাথমিক তদন্তের পর অনুমান করে পুলিশ। উল্লেখযোগ্য ভাবে একটি চপার মৃত অবস্থায় ডান হাতে ধরা ছিল। পুলিশের ধারণা মৃত মুকেশের সঙ্গে কারও গন্ডগোল চলছিল। সেই সময় তাকে পেছন থেকে ধরে ধরল অস্ত্র দিয়ে গলা কাটতে পারে খুনি। মুকেশের পরে হাতে চপার রেখে দেওয়া হয়েছে নাকি আগে থেকেই চপার হাতে ছিল, সেই সমাধান করতে পারলেই অনেক সত্য সামনে আসবে বলে মনে করছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: কলকাতায় চাই সবুজ-ঝড়, দুদিনেই 'গুরুদায়িত্ব' সামলাবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
ইতিমধ্যে টনাস্থলে লালবাজারের ফরেন্সিক দল পৌঁছে গিয়েছে, সমস্ত নমুনা সংগ্রহ করেছে। ঘটনা সুত্রে জানা গিয়েছে, ভাই সঞ্জয়ের সঙ্গে মুকেশের দীর্ঘদিন একটা ঝগড়া অশান্তি চলছিল। মুকেশের স্ত্রী, দুই ছেলে নভেম্বর মাসে বিহারে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন।গতকাল শুধু মুকেশ একাই বাঁশদ্রোনী বাড়িতে ফিরে আসেন। মুকেশের বাইরে কোনও শত্রু রয়েছে বলে এখনও পর্যন্ত পুলিশের কাছে খবর নেই। তবে ছুরির আঘাতেই যে খুন, এটা স্পষ্ট পুলিশের কাছে। খুন পারিবারিক শত্রুতার জেরেও হতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। ভাই সঞ্জয়কে পুলিশ ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। খুনের সময় একাধিক মানুষের উপস্থিতি ছিল সেটা মনে করছেন তদন্তকারীরা।
Shanku Santra