আরও পড়ুন: সুপ্রিম রায়ে জোর ধাক্কা বিজেপির রথযাত্রায়
- ২০১৭ নভেম্বর মাসে লন্ডন থেকে দেশে ফিরে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন রত্না
- রত্নার অনুপস্থিতিতে ততদিনে বেহালার পর্ণশ্রীর বাড়ি ছেড়ে গোলপার্কের বাড়িতে শোভন চট্টোপাধ্যায়
এরপরেই প্রকাশ্যে আসে শোভন-রত্নার বিবাদের কথা। সামনে আসে বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে শোভনের সম্পর্কের কথাও।
advertisement
- সম্পর্কের উত্থানপতনের চাপ পড়ছিল শোভন চট্টোপাধ্যায়ের কাজেও
- কর্তব্যে অবহেলার খবর ছিল দল ও মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও
- তাঁর জেড প্লাস ক্যাটেগরি নিরাপত্তা ছেঁটে বার্তা দেওয়া হয়
- দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা সভাপতির পদ থেকেও ছেঁটে ফেলা হয়
- শোভনের হাত থেকে কেড়ে নেওয়া হয় পরিবেশ দফতরও
আরও পড়ুন: অকংগ্রেসি-অবিজেপি জোট নিয়ে কলকাতায় মমতার সঙ্গে আলোচনা চন্দ্রশেখর রাওয়ের
কিন্তু, সেসবেও হুঁশ ফেরেনি। বরং, ডোন্ট কেয়ার মনোভাবই দেখিয়েছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। তাঁকে ও বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে তখন রেস্তোরাঁ, হোটেল, শপিং মল থেকে আদালত, সর্বত্রই দেখা যাচ্ছিল। বৈশাখীর সঙ্গে সম্পর্ক নিয়েও আর রাখঢাক ছিল না। সর্বসমক্ষেই স্বীকার করে নিয়েছিলেন দু’জনের সম্পর্কের গভীরতার কথা।
আরও পড়ুন: প্রয়াত দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়, ট্যুইটারে শোকপ্রকাশ মমতার
তারপর, থেকে আইন আদালতের জল যত গড়িয়েছে ততই তিক্ত হয়েছে শোভন-রত্নার সম্পর্ক। শোভনের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগও জোরালভাবে উঠতে শুরু করে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দীর্ঘদিনের সঙ্গী। শোভনের বদলে কানন নামেই তাঁকে ডাকা পছন্দ করতেন তৃণমূল নেত্রী। কিন্তু, শোভনের আচরণে ক্ষুব্ধ ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। শেষপর্যন্ত, শোভনের মন্ত্রিত্ব ও মেয়র পদে দাঁড়ি পড়ল। প্রশ্ন তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়েও।