সিএনসিআই-এর সুপার ডাঃ শঙ্কর সেনগুপ্ত জানালেন যে চিকিৎসা সহায়ক কর্মীদের একটু সতর্কতায় মৃত্যুর হার অনেকটাই কমে যেতে পারে। এই বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি মা ও শিশুর ক্যানসার প্রতিরোধ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।
আরও পড়ুন-ঝড়ের বেগে জ্বরে কাবু শিশুরা! অবশেষে সামনে এল কারণ, মোকাবিলায় যে ব্যবস্থা...
সিএনসিআই এর অধিকর্তা ডাঃ জয়ন্ত চক্রবর্তী জানালেন যে ক্যানসার আক্রান্তদের আন্তর্জাতিক গাইডলাইন মেনে চিকিৎসার পাশাপাশি তাঁদের যথাযথ যত্ন ও সাহস দেওয়া জরুরি। ক্যানসার এমনই এক অসুখ যার নাম শুনলেই পরিবারের সকলেই ভেঙে পড়েন। তাই রোগী ও তাঁদের পরিবারকে সব সময়ই মানসিক ভাবে সাহস জোগানো দরকার। এছাড়া ক্যানসারের ক্ষেত্রে প্রতিরোধ ও দ্রুত রোগ নির্ণয়ের ব্যাপারে জোর দেবার কথা বললেন ডাঃ চক্রবর্তী। স্ত্রীরোগ ক্যানসার বিশেষজ্ঞ ডাঃ সুনয়না ওয়াধা মেয়েদের স্বাস্থ্যের যত্ন নেবার পাশাপাশি ক্যানসার স্ক্রিনিং এর ব্যাপারেও সতর্ক থাকতে বলেন।
advertisement
বিশেষ করে আমাদের দেশের মহিলাদের জরায়ুমুখ ক্যানসার স্ক্রিনিং এর ওপরে গুরুত্ব দেবার পরামর্শ দেন। সিএনসিআই থেকে জরায়ুমুখ বা সারভিক্স ক্যানসার স্ক্রিনিং ও চিকিৎসা নিয়ে নিয়মিত ক্যাম্প করা হলেও এই ব্যাপারে আরও অনেক বেশি সচেতনতা বাড়ানো দরকার। হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) নামক এক বিশেষ ভাইরাস এই ক্যানসারের জন্য দায়ী। ৯ – ১৬ বছর বয়সী কিশোরীদের সারভিক্স ক্যানসারের টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক করার ব্যাপারে আবেদন জানান ডাঃ সুনয়না ওয়াধা।
হাসপাতাল থেকে অনেক সময় রোগীদের নানান সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে। তাই রোগীদের হাতে চ্যানেল অর্থাৎ আইভি ক্যানুলেশনের সময় অনেক বেশি সতর্ক থাকা উচিৎ বলে পরামর্শ দিলেন মাইক্রোবায়োলজিস্ট ডাঃ শুভ্রাংশু মণ্ডল।
বাচ্চাদের চোখ, মস্তিষ্ক ও রক্তের ক্যানসারের প্রাথমিক উপসর্গ সম্পর্কে বাড়ির লোকজনের পাশাপাশি চিকিৎসকদের আরও বেশি সতর্ক হবার পরামর্শ দিলেন ডাঃ সুমন পালচৌধুরী। কাহোর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ডাঃ সুনন্দা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়।
