আরও পড়ুন: জ্বলছে দাদার দেহ, পাশেই গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলন্ত বোন...বাসন্তীর শ্মশানে মর্মান্তিক ঘটনা
এর জন্য কোনও বাড়তি টাকা অবশ্য দিত না। তারপর একদিন সোনাগাছি। সেই ২০০০ সাল থেকে আজও। যৌনকর্মী হিসেবে নিজের পরিচয় গোপন করেননি। পাশাপাশি চলছে লড়াইও। যৌনকর্মী হিসেবে স্বীকৃতির লড়াই। লড়াই জারি থাকবে। বলছেন শুধু ডলি নয়, ডলির মতো সোনাগাছির আরও অনেকেই। এখনও সেখানেই চলছে তাদের প্রতিদিনের লড়াই-সংগ্রাম। লাগাতার লড়াই চলছে। নানা সময়ে নানা ভাবে হেনস্থা। জীবনের কঠিন লড়াই। তবুও এই পেশাকেই জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত আঁকড়ে ধরে থাকতে চান ওঁরা। কেউই লজ্জিত নন যৌনকর্মী হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিতে।এখন একটাই চাহিদা। কেউ যেন তাঁদের মতো মেয়েদের অবহেলার চোখে না দেখেন। তাঁদের ছেলেমেয়েরাও যেন অন্যদের মতোই মানুষ হওয়ার সমস্ত সুযোগ পায়। আর পাঁচটা কাজের মতো দেহব্যবসাকেও পেশা হিসেবে স্বীকৃতির পক্ষে, সম্প্রতি সওয়াল করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
advertisement
আরও পড়ুন- আট বছরে গরিবদের কল্যাণের কথাই সবার আগে ভেবেছি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
ডলিদের কাছে এ যেন যুদ্ধজয়ের পথে একধাপ। দুর্বার মহিলা সমন্বয় সমিতির সভাপতি বিশাখা লস্কর, তিনিও বললেন,' যৌন পেশার স্বীকৃতি আদায়ে আমাদের লড়াই জারি থাকবে। সোনাগাছির মহিলারাও যে সমাজের চোখে ব্রাত্য নয়, এটাই আমরা প্রমান করে ছাড়ব'। যৌন কর্মীর পেশায় থেকে নিজেদের লজ্জিত মনে করেন না। বরং গর্ব বোধ করেন। আর পাঁচজনের মতোই পেটের টানে জীবন যুদ্ধে সামিল তাঁরাও। অন্যান্য নাগরিকদের মত তাঁদেরও সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে। বলছেন যৌনকর্মীরা।
ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী