TRENDING:

Sonagachi: আদালত দিয়েছে স্বীকৃতি, পেশা নিয়ে মুখ লুকোতে চান না সোনগাছির ডলিরা

Last Updated:

Sonagachi: ডলিদের কাছে এ যেন যুদ্ধজয়ের পথে একধাপ। দুর্বার মহিলা সমন্বয় সমিতির সভাপতি বিশাখা লস্কর, তিনিও বললেন, যৌন পেশার স্বীকৃতি আদায়ে আমাদের লড়াই জারি থাকবে।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: সুপ্রিম কোর্টের চোখে পেশার স্বীকৃতি। এখনও অনেকটা পথ চলা বাকি। লড়াই জারি থাকবে। বলছেন, তাঁদেরই একজন।  রুজিরুটির টানে রোজ ছুটছে শহর। এ শহরের ওঁরাও অংশ। সদ্য দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, তাদের চোখে দেহব্যবসাও এক ধরনের পেশা। সেই পেশারই একজন সোনাগাছির বাসিন্দা ডলি সাহা। সমাজ তাঁর পেশাকে স্বীকৃতি দেয়নি। এর বিরুদ্ধে লড়াই চলছে। ডলি নিজের পেশা নিয়ে লজ্জিত নন। কোনও ভাবেই চান না নিজের মুখ লুকোতে।  সোনাগাছির ডলি সাহা বলছেন, এই পেশায় একেবারেই লজ্জিত নই। বুক ফুলিয়ে আগেও বলেছি। এখনও বলব আমি যৌনকর্মী। টানাটানির সংসার। ছেলে, মেয়ে। বয়স্ক বাবা-মা। এতগুলো পেট চলবে কী করে? অগত্যা কাজের আশায় একদিন বনগাঁ থেকে উল্টোডাঙায় চলে আসেন ডলি। কাজও জোটে একটি লজে। কিন্তু অভিযোগ, অন্যান্য কাজের সঙ্গে ডলিকে দেহ ব্যবসার কাজে লাগাত লজ কর্তৃপক্ষ।
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি
advertisement

আরও পড়ুন: জ্বলছে দাদার দেহ, পাশেই গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলন্ত বোন...বাসন্তীর শ্মশানে মর্মান্তিক ঘটনা

এর জন্য কোনও বাড়তি টাকা অবশ্য দিত না। তারপর একদিন সোনাগাছি। সেই ২০০০ সাল থেকে আজও।  যৌনকর্মী হিসেবে নিজের পরিচয় গোপন করেননি। পাশাপাশি চলছে লড়াইও। যৌনকর্মী হিসেবে স্বীকৃতির লড়াই। লড়াই জারি থাকবে। বলছেন শুধু ডলি নয়, ডলির মতো সোনাগাছির আরও অনেকেই। এখনও সেখানেই চলছে তাদের প্রতিদিনের লড়াই-সংগ্রাম। লাগাতার লড়াই চলছে। নানা সময়ে নানা ভাবে হেনস্থা। জীবনের কঠিন লড়াই। তবুও এই পেশাকেই জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত আঁকড়ে ধরে থাকতে চান ওঁরা। কেউই লজ্জিত নন যৌনকর্মী হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিতে।এখন একটাই চাহিদা। কেউ যেন তাঁদের মতো মেয়েদের অবহেলার চোখে না দেখেন। তাঁদের ছেলেমেয়েরাও যেন অন্যদের মতোই মানুষ হওয়ার সমস্ত সুযোগ পায়।   আর পাঁচটা কাজের মতো দেহব্যবসাকেও পেশা হিসেবে স্বীকৃতির পক্ষে, সম্প্রতি সওয়াল করেছে সুপ্রিম কোর্ট।

advertisement

আরও পড়ুন- আট বছরে গরিবদের কল্যাণের কথাই সবার আগে ভেবেছি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

ডলিদের কাছে এ যেন যুদ্ধজয়ের পথে একধাপ। দুর্বার মহিলা সমন্বয় সমিতির সভাপতি বিশাখা লস্কর, তিনিও বললেন,'  যৌন পেশার স্বীকৃতি আদায়ে   আমাদের লড়াই জারি থাকবে। সোনাগাছির মহিলারাও যে সমাজের চোখে ব্রাত্য নয়, এটাই আমরা প্রমান করে ছাড়ব'।   যৌন কর্মীর পেশায় থেকে নিজেদের লজ্জিত মনে করেন না। বরং গর্ব বোধ করেন। আর পাঁচজনের মতোই পেটের টানে জীবন যুদ্ধে সামিল তাঁরাও। অন্যান্য নাগরিকদের  মত তাঁদেরও সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে। বলছেন যৌনকর্মীরা।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী

বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
Sonagachi: আদালত দিয়েছে স্বীকৃতি, পেশা নিয়ে মুখ লুকোতে চান না সোনগাছির ডলিরা
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল