তাই সেগুলো না সরিয়ে কী ভাবে বিকল্প রাস্তা বের করা যায় সেই নিয়ে মেট্রো কর্তৃপক্ষকে ভাবতে বলা হয়েছে। যাবতীয় যে ম্যাপ সব তাদেরকে দেওয়া হয়েছে। পুজোর পর তারা পরিকল্পনা জানাবেন। রাজ্যের আশঙ্কা পাইপ সরানোর পদ্ধতিতে দীর্ঘদিন জল পরিষেবা বন্ধ থাকার। রাস্তার মাঝামাঝি বদলে, পাশাপাশি পিলার সরিয়ে বসাতে গেলে উচ্ছেদ প্রয়োজন হতে পারে। তাতে তো রাজ্যের নৈতিক আপত্তি থাকবেই, সেটাও পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে।
advertisement
আপনি কি সরকারি কর্মচারী? মিষ্টির বাক্স রেডি রাখুন! যে কোনও সময় আসতে পারে সুখবর!
বরানগর থেকে ব্যারাকপুর পর্যন্ত প্রস্তাবিত এই মেট্রো লাইনের দৈর্ঘ্য হবে প্রায় ১২.৫ কিমি। এই প্রকল্পে প্রধান অসুবিধা বি টি রোড থেকে জলের পাইপ লাইন সরানো।বি টি রোডের নিচে রয়েছে ৪২ থেকে ৭২ ইঞ্চি ব্যাসের ছ’টি বড় পাইপলাইন। মেট্রোর পিলার বসানোর জন্য অন্তত তিনটি সরাতেই হবে। প্রস্তাব, পরিবর্তে বসানো হোক দু’টি ৯০ ইঞ্চি পাইপ। তবে এত বড় ব্যাসের পাইপ বসানো আদৌ সম্ভব কি না তা নিয়েও সংশয়।
প্রয়োজনে মাইক্রো-পাইলিং বা বিকল্প কোনও প্রযুক্তির সাহায্য নিতে হতে পারে, তার জন্য চাই ফিজিবিলিটি টেস্ট। এই কাজ করতে গেলে বিপুল অর্থের প্রয়োজন।সেই অর্থ কে দেবে তা নিয়েও আছে প্রশ্ন।ব্যারাকপুরের সাংসদ পার্থ ভৌমিক রেল মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণকে এই প্রকল্প চালু করতে চেয়ে চিঠি দিয়েছিলেন। তার পরেই ফের শুরু আলোচনা।
রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রকল্পের ঘোষণা করেছিলেন। আপাতত পাইপ সরানো অত্যন্ত দূরহ কাজ বলেই মনে করা হচ্ছে। আবার মাটির ওপরের বদলে, মাটির নীচে কাজ করতে গেলেও একাধিক সমস্যা। ফলে এই প্রকল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন।