তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, জাকির হোসেন-সহ মুর্শিদাবাদ জেলার সমস্ত তৃণমূল বিধায়ক এবং সাংসদ, ব্লক সভাপতি এবং তৃণমূল দলের অন্যান্য পদাধিকারীদের বৈঠকে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু জাকির হোসেন অনুপস্থিত ছিলেন। জাকির হোসেন বর্তমানে দলের রাজ্য সহ-সভাপতি। তাঁর ঘনিষ্ঠদের অনেকে অবশ্য জানাচ্ছেন জাকিরকে অন্ধকারে রেখেই মুর্শিদাবাদ জেলার জন্য কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল। অনেকে মনে করেছিলেন রাজ্য মন্ত্রিসভা অথবা জেলা সভাপতির পদে দেখতে পাওয়া যেতে পারে জাকির হোসেনকে। কিন্তু জাকির হোসেন মন্ত্রিসভায় স্থান পাননি। পাশাপাশি, তৃণমূলের জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতির পদও দেওয়া হয়নি। ওই পদে রেখে দেওয়া হয় জঙ্গিপুরের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ খলিলুর রহমানকে।তারপর থেকেই একপ্রকার অন্তরালে রয়েছেন তৃণমূলের এই বিধায়ক।
advertisement
বৃহস্পতিবার কর্মী সম্মেলনে মুর্শিদাবাদ জেলার কুড়ি জন তৃণমূল বিধায়কের মধ্যে ১৯ জন বিধায়ক উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। যদিও জাকির হোসেনের এলাকা থেকে দলের ব্লক সভাপতি এবং বিভিন্ন পঞ্চায়েতের পদাধিকারী সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন।২০২১ বিধানসভা ভোটের আগে জাকির হোসেনের উপর প্রাণঘাতী হামলা হয়। দীর্ঘদিন হাসপাতাল বন্দি ছিলেন তিনি। যদিও শারীরিক আঘাত সামলে বিপুল মার্জিনে জঙ্গিপুর থেকে জয়ী হয়েছিলেন জাকির হোসেন। তারপর অনেকেই মনে করেছিলেন তাঁকে মন্ত্রিসভায় ফিরিয়ে নেওয়া হবে। কিন্তু তা না হওয়াতে জাকির হোসেন অভিমানে দলের সঙ্গে ধীরে ধীরে দূরত্ব বাড়াচ্ছেন বলে অনেকে মনে করছেন৷যদিও মান-অভিমানের প্রসঙ্গ এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি৷
জাকির হোসেন জানিয়েছেন, "আমি শারীরিক ভাবে অসুস্থ। আমার পায়ে অসম্ভব যন্ত্রণা। আরও চিকিৎসা প্রয়োজন। এখন ভীড়ে যেতে ভয় লাগছে। যদি আবার অসুস্থ হয়ে পড়ি। আমি তাই যেতে পারিনি। আর দল যা সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমি সেটা মেনে চলি। তাই কার উপর অভিমান করব?"